আমাদের ভুবনে আপনাকে স্বাগতম-- ভর্তি চলছে! ভর্তি চলছে!! ভর্তি চলছে!!! আমাদের সেন্টারে ভর্তির জন্য admission form- এ ক্লিক করে ভর্তি ফরম ডাউন লোড করে নিন। ধন্যবাদ।

ওয়েব বিজ্ঞাপন ও গ্রাহকের অধিকার সম্পর্কে জানুন

আপনাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা নিয়মিত ওয়েবসাইট ঘাটাঘাটি করছেন তারা খুব ভাল করেই ওয়েবসাইট বিজ্ঞাপনগুলো দেখছেন। বিজ্ঞাপনের কথা বলা হলো তবে বিজ্ঞাপন নিয়েই যত সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে বিশাল এই ইন্টারনেটে। লাগাম ছাড়া এই বিজ্ঞাপনের বাজারকে সঠিক নিয়ন্ত্রণ করাটা জরুরি। লাগামহীন এই সব বিজ্ঞাপনগুলো যে বিভিন্নভাবে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের ক্ষতি করছে, তা নিয়ে মাথা ঘেমেছে অনেকেরই। তবে ২০০২ সালে সর্ব প্রথম এই ভাবনা আসলেও বাস্তবায়িত হয়নি। তবে ২০০৯ এর ভাবনাটা একটু ভিন্নরূপে প্রকাশ করেছে আমেরিকার সংসদ সদস্য রিক বাউচার। শুধু রিক বাউচারই নয় তার সাথে আছে আরো দু’জন সংসদ সদস্য। তারা যথাক্রমে ক্লিফ স্টিয়ানর্স ও জু বারটন।

লাগামহীন উন্মত্ত্ব বিজ্ঞাপনকে লাগাম পরানোর উদ্যোগকে সবাই ভাল চোখেই দেখছে। ওয়েব সাইটে বিজ্ঞাপনগুলো মানুষকে যেমন উপকৃত করছে সেই সাথে বিশাল ক্ষতিরও কারণ হচ্ছে। তাই ব্যবহারকারী সতর্ক থাকলেও বিজ্ঞাপনের অতিরিক্ততায় অতিষ্ট হয়ে দিনদিন ইন্টারনেট ব্যবহারে আগ্রহ হারাচ্ছে অনেকেই। ধরুন আপনি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে গুগল এ সার্চ দিলেন। সার্চ কি-ওয়ার্ড রিলেটেড প্রচুর পেজ ওপেন হলো কিন্তু সমস্যাটা হচ্ছে স্পন্সরড লিংক নামের বিজ্ঞাপনগুলোতে স্পন্সরড লিংকে ক্লিক করার পর দেখলেন একটি অবাঞ্চিত বিজ্ঞাপন। যারা জানেনা এই সব বিজ্ঞাপনগুলো সম্পর্কে। তারা হরহামেশাই প্রতারণার শিকার হচ্ছে। কোন কোন বিজ্ঞাপন আছে যেগুলো খুবই বিরক্তিকর একজন ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর জন্য। তবে বিরক্তিকর আসলে তার কাছে যে বিষয়টি বুঝতে পারছে এটি একটি ভুয়া বিজ্ঞাপন। আর যারা বিষয়টি বুঝতে পারছেন না তারা বিনাবাক্য ব্যয়ে ক্ষয় করছে হাজার হাজার টাকা। বিজ্ঞাপনগুলোর ধরন এমন যে, আপনি ডাটা এন্ট্রির কাজ খুঁজছেন। গুগল এ সার্চ দিলেন ‘ডাটা এন্ট্রি ওয়ার্ক ফন্সম হোম’। গুগল আপনাকে হাজার হাজার পেজ ওপেন করে দিল। আর স্পন্সর লিংকড এ দেখলেন ýমার্ট ডাটা এন্ট্রি ডট কমের একটি ওয়েব সাইট। ওয়েবসাইট এড্রেসের সাথে দেয়া আছে লোভনীয় অফার ‘অনলাইন ডাটা এন্ট্রি। প্রতিদিন ১৪০০ ডলার। কোন অভিজ্ঞতার দরকার নেই। শুরু করুন।’ এমন লোভনীয় অফার দেখে তাতে ক্লিক করে ওপেন করলেন ওয়েব সাইটটি। ýমার্ট ডাটা এন্ট্রির হোম পেজ এ আছে আরো লোভনীয় সব কথা। এবার শর্ত হচ্ছে কাজ পেতে হলে আপনাকে ýমার্ট ডাটা এন্ট্রি ডট কমের সাথে সাইন আপ করতে হবে। আপনি আপনার ইমেল এড্রেস সহ নাম ঠিকানা দিয়ে সাইন আপ করার দ্বিতীয় ধাপে আসলো ৪৯.৫০ ডলার দিলে আপনি কাজ শুরু করতে পারবেন। আর ইনকাম করতে পারবেন দিনে ১৪০০ ডলার।

লোভনীয় অফারতো বলা হলো চলুন এবার জানি কি ধরনের ক্ষতি হবে এমন সব ওয়েব সাইটে সাইন আপ করলে। আমি খুবই সাধারণ কয়েকটি সমস্যার কথা বলি।

এক. অনেকেই তাদেরকে ৪৯.৫০ ডলার দিচ্ছে এবং অফেরতযোগ্য এই টাকা দেয়ার বিনিময়ে প্রতারিত হচ্ছে।
দুই. ইমেল দিয়ে সাইন আপ করার পর তারা আপনার ইমেইল এড্রেসসহ নাম ঠিকানা ট্রেকিং করছে। আর ইমেইল এড্রেসগুলো বিক্রি করছে অন্য আরেক প্রতারক ব্যবসায়ীর কাছে। সেই প্রতারক ব্যবসায়ী আবার আপনাকে নিয়মিত মেইল পাঠাচ্ছে। আপনি ইয়াহু গ্রুপের ৭,৭৫,০০০ ডলার লটারি জিতেছেন। লটারির টাকা উঠাতে আপনাকে ৭০ ডলার দিতে হবে। ৭০ ডলার দেবার পর তারা আর কোন খোঁজও আপনার নিচ্ছে না।
তিন. ýমার্ট ডাটা এন্ট্রি ডট কমের মত এমন অনেক ওয়েব সাইট আছে যারা ইমেল এড্রেস সহ আইপি এড্রেস ট্রেকিং করছে। আর বিক্রি করছে অন্য এক প্রতারকের কাছে।
চার. আপনি স্পন্সরড লিংক দু’টি সাধারণ পথে থেকে ঐ প্রতারক ব্যবসায়ী ইনকাম করে নিচ্ছে। মনে হয়ত প্রশ্ন জাগছে কিভাবে? প্রথমে বিজ্ঞাপন দেখে ক্লিক করাতে এবং তার ওয়েবসাইট ওপেন করলেন তার জন্য। শুধু যে এই দুই পথ তা কিন্তু নয় এমন হাজারও পথ আছে প্রতারকদের প্রায় প্রতিদিনই তাদের প্রতারণার স্বীকার হচ্ছে অনেক ব্যবহারকারী। তবে আশার বাণী এই যে, ইন্টারনেটের এইসব ভুয়া বিজ্ঞাপন ঠেকাতেই প্রণীত হচ্ছে নতুন আইন। শুধু আইন প্রণীত হলেই যে, পুরো ইন্টারনেটকে প্রতারক মুক্ত করা যাবে তা কিন্তু নয়। তার জন্য সতর্ক হতে হবে ব্যবহারকারীকেও। ব্যবহারকারীদের অনেক বিষয়ে সতর্ক হতে হবে, তারমধ্যে সচেতনতা অত্যন্ত জরুরি।

ফেডারেল ট্রেড কমিশন কর্তৃক প্রণীত নতুন আইনে প্রচুর তথ্য সহকারে ব্যবহারকারীদের সতর্কবাণী দেয়া হবে। ফেডারেল ট্রেড কমিশনের কর্তা ব্যক্তিরা সিনেটকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে বলে ‘বিজ্ঞাপনের লোভনীয় অফার দেখে উন্মত্ত্ব হয়ে লাভ নেই। সেজন্য ব্যবহারকারীকেই সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।’ সত্যিই তাই, চিত্তাকর্ষক অফার দেখে কি লাভ? বিজ্ঞাপনের স্বভাব দেখেই একজন ব্যবহারকারী তার প্রয়োজনীয় ওয়েবসাইটটি ওপেন করতে পারে। দিনে ১৪০০ ডলারের কাজ যে দিতে পারবে। সে কেন ৫০ ডলার নিবে? কাজ করার পরেও তো ৫০ ডলার রেখে আমাকে টাকা দিতে পারে, তাই না?’ ফেডারেল ট্রেড কমিশনের এমন উদাহরণ শুনে গুগল ও ইয়াহু’র মত সাইটের কর্তা ব্যক্তিরাও ধন্যবাদ জানান তাদের।
শুধু গুগল আর ইয়াহুই নয় সেন্ট্রাল ফর ডিজিটাল ডেমোক্রেসির তত্ত্বাবধায়ক জেফ চেষ্টারও ফেডারেল ট্রেড কমিশনের সাথে একমত পোষন করে।

সেন্টার ফর ডিজিটাল ডেমোক্রেসির ওয়েবসাইটে গুগলের প্রতি কিছু ক্ষোপ প্রকাশ করে তারা বলে ‘গুগলের মত সার্চ ইঞ্জিনে কীভাবে এইসব ভুয়া বিজ্ঞাপন দিচ্ছে প্রতারকরা। তাদের এ বিষয়ে আরো সতর্ক হওয়া দরকার ছিল। গুগল যেখানে হাজার হাজার দক্ষ লোকের তত্ত্বাবধানে চলছে সেখানে এমন ভুলগুলো ধরাটা উচিত ছিল। জেফ চেস্টার পৃথিবীর সকল ব্যবহারকারী উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা সচেতন হোন। আর গুগল কিংবা ইয়াহু এই সকল ভুয়া বিজ্ঞাপনকে বাতিল করতে থাকুক।’

এফিলিয়েট মার্কেটিং
বিশ্বের মধ্যে প্রচুর ব্যবসায়ী আছে যারা অনলাইনে ব্যবসা করছে। তবে মনে একটা প্রশ্ন জাগা স্বাভাবিক। কিভাবে তারা এই বিশাল বিশ্ব বাজারকে হাত করলো? প্রশ্নের উত্তর একটাই এফিলিয়েট মার্কেটিং। যেসব ওয়েব সাইট বিশ্ব বাজারকে হাত করে নিয়েছে তাদের ব্যবসায়ের দৈনন্দিন ওয়েবসাইট ট্রফিক বাড়ার পিছনে একটা জিনিসই কাজ করেছে। আর তা হচ্ছে এফিলিয়েট মার্কেটিং।

এফিলিয়েট মার্কেটিং কি?
যেকোন একটি ওয়েবসাইট তার ওয়েব ভিজিটর বাড়ানোর জন্য এফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের সহায়তা নেয়। উদাহরণ দিয়ে বললে ব্যাপারটা আরো পরিস্কার হবে। ধরুন ডাউনলোড ডটকম, যারা কম্পিউটারে বিভিন্ন সফটওয়্যার বিক্রি করে এবং তা অনলাইনে। এবার কথা হচ্ছে ডাউনলোড ডট কম যদি আমেরিকার একটি কোম্পানির ওয়েবসাইট হয় তবে তারা সারা বিশ্বের ব্যবহারকারীদের সফটওয়্যার কেনায় আগ্রহী করতে এফিলিয়েট মার্কেটিং অপশনটি তার ওয়েবসাইটে রাখবে। প্রথমে আপনি ওয়েবসাইটটি দেখলেন এবং সফটওয়্যার কিনলেন। এখন কথা হচ্ছে ডাউনলোড ডট কম আপনার জন্য একটি প্রোগ্রাম রেখেছে এমন যে আপনার বুকে ডাউনলোড ডট কমের সাথে পরিচয় করাবেন। তারপর যদি আপনার বু আপনার দেয়া লিংক দিয়ে ডাউনলোড ডট কম হতে কোন পণ্য কিনে তবে আপনি তার জন্য একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ কমিশন পাবেন। মোট কথা হচ্ছে অনলাইন হতে অতিরিক্ত কিছু অর্থ উপার্জন করার জন্য এফিলিয়েট মার্কেটিং একটি চমৎকার প্রক্রিয়া।

বিশাল বিশ্ব বাজার ও অর্থ উপার্জন
আপনার জীবন পরিবর্তিত হবার মত একটি চমৎকার অর্থ উপার্জনের পথ হচ্ছে এফিলিয়েট মার্কেটিং। সমগ্র বিশ্বে মিলিয়ন মিলিয়ন ইন্টারনেট ব্যবহারকারী আছে। তার মধ্যে ক্ষুদ্রতম একটি অংশও যদি আপনার এফিলিয়েট প্রোগ্রামের সাথে অন্তর্ভূক্ত হয় তবে আপনিও মাস শেষে ২৫-৩০ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন খুব সহজেই। তবে সেজন্য আপনার প্রয়োজন বুদ্ধিমত্তা ও চমৎকার ওয়েব জ্ঞান।

সাফল্যের জন্য করণীয়
অর্থ উপার্জনের জন্য নানান ধরনের এফিলিয়েট মার্কেটিং আছে। তবে সব এফিলিয়েট প্রোগ্রামই যে আপনাকে সফল করবে তা নয়। তাই অর্থ উপার্জনের আদ্যোপান্ত জানা থাকা চাই। অর্থ উপাজন যেহেতু, সেহেতু একটু পরিশ্রম করেই অর্থ উপার্জন করতে হবে। পূর্বেই বলেছি অর্থ উপার্জনের জন্য থাকতে হবে বুদ্ধিমত্তা ও চমৎকার ইন্টারনেট জ্ঞান। সর্বোপরি কয়েকটি বিষয়তো থাকতেই হবে। তন্মধ্যে জেদ, আকাংখা। সেই সাথে আরো একবার বলছি বুদ্ধিমত্তার কথা। সফলতার জন্য আগ্রহ থাকলে অবশ্যই সফলতা পাওয়া সম্ভব।

এফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করতে যা যা করণীয়
> যদি না থাকে তবে একটি ওয়েব সাইট তৈরি করতে হবে
> আপনার ওয়েব সাইটের সাথে সম্পর্ক যুক্ত কিছু এফিলিয়েট প্রোগ্রামের সাথে সম্পৃক্ত হতে হবে
> যেসব এফিলিয়েট প্রোগ্রামের সাথে সম্পৃক্ত হলেন তাদের ওয়েব সাইটের ব্যানার বিজ্ঞাপনগুলো আপনার ওয়েব সাইটে দিতে হবে।
> আপনার ওয়েব সাইট ভিজিটর বাড়ানোর চেষ্টায় থাকতে হবে।
উপরের পদক্ষেপগুলো অনুসরণ করার পর আপনাকে কিছুই করতে হবে না। যা করার করবে আপনার ওয়েবসাইট ভিজিটররা। তারা আপনার ওয়েব সাইটে এসে বিভিন্ন এফিলিয়েট প্রোগ্রামের বিজ্ঞাপন দেখবে এবং তাতে ক্লিক করে পণ্য ক্রয় করবেন বা সাইন আপ করবেন আর তার জন্য আপনি একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ কমিশন পাবেন।

No comments:

Post a Comment

Blogger Widgets