সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইট ফেসবুক এর পথ
চলার ১০ বছর পূর্ণ হলো। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ছোট্ট একটি ঘরে পথচলা
শুরু করার পর ১০০ কোটি ব্যবহারকারীর সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইট হিসেবে
দ্রুত সামনে এগিয়ে যাচ্ছে ফেসবুক। শুভ জন্মদিন, ফেসবুক। হার্ভার্ড
ইউনিভার্সিটির ছোট ডরমেটরিতে ৪ ফেব্রুয়ারি ফেসবুক চালু করেছিলেন মার্ক
জাকারবার্গ। ফেসবুকের তথ্য অনুযায়ী, শুধু কলেজপড়ুয়া শিক্ষার্থীদের জন্যই
চালু করা হয়েছিল ফেসবুক।
সাইটটিতে বর্তমান ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১০০
কোটি ছয় লাখ। এর মধ্যে প্রতিদিন ৬১ কোটি ৮০ লাখ ব্যবহারকারী দিনে অন্তত
একবার ফেসবুকে লগ ইন করেন। মোবাইল ফোন থেকে প্রতিদিন ফেসবুকে লগ ইন করেন ১৫
কোটি ৭০ লাখ ব্যবহারকারী।
সামাজিক যোগাযোগের ক্ষেত্র হিসেবে তরুণদের
মধ্যে ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে ফেসবুকে। মিসর, সিরিয়া, তিউনিসিয়ার মতো
মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে ফেসবুক ‘আরব বসন্ত’ খ্যাত গণজোয়ার তৈরিতে
বিশেষ ভূমিকা রেখেছে, যা সরকার উত্খাতের মতো বিপ্লব তৈরি করতে যোগাযোগে
সহায়ক ভূমিকা রেখেছে।
বিশ্বে ৭০টিরও বেশি ভাষায় ফেসবুক ব্যবহার
করা হয়। যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার বাইরে ৭০ শতাংশ প্রতিষ্ঠান ফেসবুক
ব্যবহার করে। চিলি ও তুরস্কের মতো দেশে ৮০ শতাংশ ইন্টারনেট ব্যবহারকারী
ফেসবুকপ্রেমী। সোশ্যাল ব্রেকার্সের এক তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে ৩০ লাখেরও
বেশি ফেসবুকে ব্যবহারকারী রয়েছেন। ফেসবুক কর্তৃপক্ষের ভাষ্য, ফেসবুকে
মোবাইল পণ্যের বিজ্ঞাপন থেকে প্রচুর আয় করা শুরু করেছে।
একনজরে ফেসবুকের উল্লেখযোগ্য ঘটনা ২০০৪,
ফেব্রুয়ারি: ফেসবুক এর যাত্রা শুরু।
মার্চ: ফেসবুকের বিস্তৃতি শুরু।
জুন: ক্যালিফোর্নিয়ায় ফেসবুকের সদর
দপ্তর স্থাপিত।
সেপ্টেম্বর: ফেসবুকের ‘ওয়াল’ ফিচার
উন্মুক্ত। ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গের বিরুদ্ধে ক্যামেরুন ও
টেইলর উইঙ্কলভস যমজ ভাইয়ের মামলা।
২০০৫, সেপ্টেম্বর: ফেসবুকে জনপ্রিয়তার
শুরু।
২০০৬, মে: ফেসবুক নেটওয়ার্কের বিস্তৃতি।
সেপ্টেম্বর: ১৩ বছরের ওপর যে কেউ ফেসবুককে
ব্যবহার করতে পারবেনএ সিদ্ধান্ত গৃহীত।
২০০৭, মে: গেম প্রকাশের প্ল্যাটফর্ম
হিসেবে ফেসবুকের আত্মপ্রকাশ।
অক্টোবর: মাইক্রোসফটের কাছে ১ দশমিক ৬
শতাংশ শেয়ার বিক্রি।
২০০৮, মার্চ: শেরিল স্যান্ডবার্গ চিফ
অপারেটিং অফিসার হিসেবে ফেসবুকে যোগ দেন।
এপ্রিল: ফেসবুক চ্যাট সার্ভিসের যাত্রা
শুরু।
২০০৯, ফেব্রুয়ারি: ফেসবুক এ লাইক যুক্ত।
জুন: অনলাইন সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইট
হিসেবে মাইস্পেসকে অতিক্রম করে শীর্ষে ।
২০১০ আগস্ট: ফেসবুকে লোকেশন ফিচার।
অক্টোবর: ফেসবুক তৈরির কাহিনি নিয়ে
চলচ্চিত্র দ্য সোশ্যাল নেটওয়ার্কের মুক্তি।
২০১১, জুন: ফেসবুকের প্রতিদ্বন্দ্বী গুগল
প্লাসের জন্ম। উইঙ্কলভস যমজের মামলা প্রত্যাহার।
সেপ্টেম্বর: ফেসবুকে টাইম লাইন উন্মুক্ত।
২০১২ জানুয়ারি: টাইম লাইনকে বাধ্যতামূলক
করে ফেসবুক। ফেব্রুয়ারি: আইপিওর জন্য আবেদন করে ফেসবুক।
২০১৩ ফেব্রুয়ারি: গ্রাফ সার্চ চালুর
ঘোষণা দেয় ফেসবুক। জুকারবার্গ জানান, বর্তমানে ফেসবুকের আকার আর মানুষের
কাছে গ্রহণযোগ্যতার মাপকাঠিতে দায়িত্ব অনেক বেড়ে গেছে বলেই মনে করেন তিনি।
১০ বছর আগে যখন হার্ভার্ডের ছোট ডরমিটরিতে ফেসবুক যাত্রা শুরু করেছিল, তখনো
হয়তো এত বড় স্বপ্ন দেখেননি জুকারবার্গ।
সংগ্রহীত।
No comments:
Post a Comment