কম্পিউটারে সমস্যা সত্যিকার অর্থে দুই ধরনের- প্রথমটি হলো নতুন ইউজারদের জন্য
এবং দ্বিতীয়টি হলো কম্পিউটারের নিজস্ব৷ প্রথম বিষয়টির জন্য উপদেশ হলো প্রথমেই ভয় ...পাবেন না৷ ধারনা করুন কি ধরনের সমস্যা হতে পারে ? বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায়, কম্পিউটার চালানোতে অদক্ষতাই মূল সমস্যা৷ কিভাবে কম্পিউটার
চলে? এর হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যারগুলো সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা নেয়ার চেষ্টা করুন তাহলেই দেখবেন ছোটখাট অধিকাংশ সমস্যার সমাধান আপনি নিজেই করতে পারছেন৷
দ্বিতীয় বিষয়টি হলো কম্পিউটারের নিজস্ব সমস্যা৷ এর মধ্যে রয়েছে-
=> হার্ডওয়্যার সেটিং সমস্যা
=> হার্ডওয়্যার কনফিগার করার সমস্যা
=> হার্ডওয়্যার ডিটেক্ট সমস্যা
=> বায়োস সেটিং সমস্যা
=> কম্পিউটারের বুট সমস্যা
=> সফটওয়ার ইন্সটল সমস্যা
=> সফটওয়্যার সাপোর্ট ও আপডেট সমস্যা
=> তৃতীয় পক্ষের আক্রমণ তথা ভাইরাস ও সিকিউরিটি সমস্যা৷
=> হার্ডওয়্যার নষ্ট হয়ে যওয়াকৃত সমস্যা৷
এ ধরনের কিছু সমস্যা ও তার সমাধান নিয়ে এখানে আলোচনা করা হলো-
নতুন ইউজারদের জন্য কিছু সতর্কতাঃ
ডাটাকে ব্যাকআপরাখা
নিয়মিত ডাটাকে ব্যাকআপ রাখলে কোনো সমস্যায় নিজেকে রক্ষা করতে পারবেন৷ ব্যাকআপ মানে হলো ডাটাকে অন্যকোথাও সেভ করে রাখা যার ফলে যে ফাইলটিতে আপনি কাজ করছেন তা মুছে গেলে, কোনোভাবে নষ্ট হলে অন্যত্র সেভকরে রাখা কপিটি আবার পুনরুদ্ধার করে কাজ করতে পারবেন৷ উইন্ডোজের নিজস্ব ব্যাকআপ টুলস রয়েছে যেটা ইন্সটল করে নিতে পারেন এ্যাড রিমুভ প্রোগামস, উইন্ডোজ সেটআপ, সিস্টেম টুলস থেকে ডিটেইলসে ক্লিক করুন৷ এবার ব্যাকআপ অন করে ওকে করলে সফটওয়্যারটি ইন্সটল হবে৷ ইন্সটল হওয়ার পর ব্যাকআপ টুলসটি পাবেন স্টার্মমেনু্যর প্রোগ্রামস>এক্সেসরিজ>সিস্টেম টুলসের ভেতর৷ এটির হেল্পে ডিটেইলস বলা আছে কিভাবে ধাপে ধাপে ব্যাকআপ করা যায়, এবং এটা বেশ সহজ৷ এটি দিয়ে ব্যাকআপ করাছাড়াও ম্যানুয়ালী যে ফাইলটিতে বর্তমানে কাজ করছেন সেটি অন্যত্র ফ্লপি বা হার্ডডিস্কের অন্য জায়গাও ডুপ্লিকেট কপি রাখতে পারেন যেটি পারেন দারুণ সাহায্য করবে মূল ফাইল করাপ্ট হলে৷
কম্পিউটারকেপরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখুন
আমাদের দেশে ধুলাবালি একটু বেশি যে কারণে কম্পিউটারকে কাজ শেষেমনিটর, সিপিইউ ঠান্ডা হওয়ার পর শুকনো কোনো কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখা ভালো৷ গরম অবস্থায় মনিটর বা সিপিইউ ঢাকা উচিত নয়৷ বেশি ধুলা যাতে কম্পিউটারে ঢোকার সুযোগ না পায় সেজন্য বাইরের জানালার পাশে মনিটর রাখা উচিত নয়৷ কোনো মতেই কম্পিউটার যেন আদ্রতা প্রবেশনা করতে পারে সেটাও নিশ্চিত করুন৷ এক মাস অন্তর অন্তর কী- বোর্ড, মাউস ইত্যাদি পরিষ্কার করতে পারেন৷ অন্যথায় অবশ্যই কেসিং খুলতে যাবেন না৷ ময়লা পরিষ্কার করতে কোনো ধরনের কেমিক্যাল ব্যবহার করবেন না৷ শুকনো কাপড় ব্যবহার করুন৷ অথবা সামান্য ভিজিয়ে পুরো পানি নিংড়ে তারপর কী-বোর্ড বা মনিটরের কাভার পরিষ্কার করতে পারেন৷ কখনোই মনিটরের স্ক্রিনে পানি বা অন্যকোনো তরল লাগাতে যাবে না৷ এটি পরোক্ষভাবে সেটাকে ক্ষতি করে৷ আঙ্গুলের দাগ লাগলে শুকনো কাপড় দিয়ে মুছতে পারেন৷
পাওয়ার সাপ্লাইটি সম্পর্কে সচেতন থাকুন
হার্ডওয়্যার বা সফটওয়্যারের যত্ন অনেক নিলেও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়অনেক সময় আমাদের চোখ এড়িয়ে যায় যেটার কারণে অনেক সময়েই আমাদের ভোগান্তি পোহাতে হয়৷ পাওয়ার সাপ্লাইটি ভালো হওয়া খুব জরুরী৷ আমাদের দেশে অনেক এলাকায়ই বিদু্যত্ খুব বেশি উঠানামা করে যেটি কম্পিউটারের জন্যখুবই ক্ষতিকর৷ এজন্য একটি ভালো স্ট্যাবিলাইজার থাকাটা জরুরি৷ তবে তারচেয়েও আরেকটি বিষয় জরুরি সেটা হলো আর্দিং রাখা৷ খুব সহজেই ইলেকট্রিশিয়ান ডেকে আপনার কম্পিউটার লাইনটির আর্দিং আছে কিনা তা নিশ্চিত হয়ে নিতে পারে৷ আর্দিং না থাকার কারণে দেখা যায় অনেক সময় কোনো কোনো হার্ডওয়্যার সমস্যা হতে পারে, হার্ডডিস্ক বা মাদারবোর্ড ক্ষতিগ্রস্থও হতে পারে৷ প্রধান পাওয়া সোসর্সে ভালো সার্কিট ব্রেকার রাখুন যা অধিক ভোল্টেজ থেকে আপনার পিসি ও অন্যান্য যন্ত্রাংশ রক্ষা করবে৷ সার্কিট ব্রেকারের তার যেন বেশি মোটা (বা বেশি সরু)না হয় যেটা অনেক ক্ষেত্রেই হয়ে থাকে যার ফলে বিদু্যত্ খুব বেশি বেড়ে গেলে সঠিকভাবে কাজ করে না৷
কম্পিউটারের নিজস্ব সমস্যাও তার সমাধানঃ
হার্ডওয়্যার ও মাদারবোর্ড সেটিং ঠিকই আছেকিন্তু পিসি পাওয়ার পাচ্ছে না :
=> কেসিং-এর পাওয়ার সাপ্লাইটি চেক করুন এখানে সমস্যা থাকতে পারে৷
=> কেসিংয়ের পাওয়ার সুইচের সাথে মাদারবোর্ডের যে সংযোগ সেটি ঠিক আছে কিনা চেক করুন৷
অনেক সময় বিদু্যত্ সরবরাহ বিচ্ছিন্ন হয়ে আবার ফিরে আসার পরে পাওয়ার আসে না৷ এর কারণ মাদারবোর্ডের পাওয়ার ক্যাপাসিটর ঠিকমতো ডিসচার্জ/নিউট্রাল না হওয়া৷ এজন্য আপনি পরবর্তীতে পাওয়ার অন করার পূর্বে পাওয়ার সাপ্লাই থেকে পাওয়ার কর্ডটি সম্পূর্ণ বিচ্ছিন করে নতুন করে সংযোগ দিন৷
কম্পিউটার হার্ডডিস্ককে ডিটেক্ট করছে না :
কম্পিউটার ব্যবহারকারীদের এ ধরনের সমস্যায় প্রায়ই পড়তে হয়৷ বিভিন্ন কারণে কম্পিউটারে পাওয়ার দেওয়ার পর হার্ডডিস্ককে কম্পিউটার ডিটেক্ট করতে পারে না৷
সমস্যার সম্ভাব্য কারণসমূহ:
১. ভালোভাবে লক্ষ্য করুন হার্ডডিস্কের সাথে কেসিংয়ের পাওয়ার সাপ্লাই থেকে আসা পাওয়ার কর্ডটি ঠিকমতো সংযুক্ত আছে কি-না৷
২. হার্ডডিস্কটির সাথে মাদার বোর্ডের আইডিই বাস ক্যাবল দ্বারা সঠিকভাবে সংযুক্ত আছে কি-না৷
৩. হার্ড ডিস্কের জাম্পার সেটিং ঠিক আছে কিনা ? এক্ষেত্রে হার্ডডিস্কের জাম্পার দুইভাবে সেট করা যায় একটি মাস্টার সেটিং অন্য স্লেভ সেটিং৷
৪. হার্ড ডিস্কটি মাদারবোর্ডের সাথে প্রাইমারি না সেকেন্ডারি হিসেবে সংযুক্ত নিশ্চিত হোন৷
৩ ও ৪ নং কনফিগারেশরনের জন্য যদি একই সেটিংসে একাধিক IDE Device (CD ROM, HDD) থাকে তবে তা পাওয়া নাও যেতে পারে- যেমন দেখা গেল যে একটি HDD ও একটি CD Rom উভয়েই Secondary master হিসেবে কনফিগার করা৷ এক্ষেত্রে দুটি Device-এর কোনো একটি নাও পাওয়া যেতে পারে৷
৫. BIOS-এ IDE অটো ডিটেক্ট অপশনটি ডিজেবল থাকলে তা ৪টি IDE ডিভাইসের জন্য এনাবল করতে হবে নতুবা ম্যানুয়ালি HDD কে ডিটেক্ট করিয়ে দিতে হবে৷
‘অপারেটিং সিস্টেম নট ফাউন্ড, NTLDR মিসিং‘ :
সাধারণ উইন্ডোজ এক্সপি, উইন্ডোজ ২০০০ কিংবা এনটি উইন্ডোজ সমূহে এ সমস্যাটি হয়ে থাকে৷ এ সমস্যাটি একবার হয়ে গেলে নতুন করে উইন্ডোজ লোড দেয়া ছাড়া উপায় নেই৷ বরং হওয়ার আগেই একটি Boot Floppy তৈরি করে তাতে সিস্টেম ড্রাইভ হতে (যে ড্রাইভে উইন্ডোজ লোড থাকে) Folder option-এ গিয়ে Show all file option টি Enable এবং Hide protected file চেক বক্স হতে Check উঠিয়ে boot.ini; ntdetect.com; ntldr ফাইল তিনটি কপি করে boot floppy তে রেখে দিন৷ পরবর্তীতে সমস্যা হলে boot floopy দিয়ে মেশিন বুট করে সিস্টেম ড্রাইভে ফাইল তিনটি আবার কপি করে রাখুন৷
সাধারণত HDD তে Bad Sector থাকলে কিংবা সংযোগ ব্যবস্থা পরিবর্তন করলে কিংবা ভাইরাস জনিত কারণে এ সমস্যা হতে পারে৷
সেফ মোডে কম্পিউটার চালু হচ্ছে :
উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম স্বাভাবিকভাবে চালু হতে না পারলে অনেক সময় সেফ মোডে চালু হয়৷ সেফ মোড হলো উইন্ডোজের বিশেষ একটি অবস্থা যখন এটি একেবারে প্রয়োজনীয় ফাইল এবং ড্রাইভারসমূহ নিয়ে লোড হয়৷ বলা যেতে পারে ‘বিপদকালীন‘ অবস্থা যখন নূন্যতম রসদ দিয়ে প্রাণে বেচে থাকাটাই গুরুত্বপূর্ণ৷ সেফ মোডে উইন্ডোজ চালু হলে প্রাথমিক ভাবে রিস্টার্ট করে দেখা যেতে পারে পুনরায় স্বাভাবিকভাবে তা চালু হয় কিনা৷ বার বার করে ব্যর্থ হলে বুঝতে হবে সমস্যাটি গুরুতর৷ উইন্ডোজের কোনো গুরুত্বপূর্ণ ফাইলের ক্ষতি বা হার্ডওয়ারের সমস্যার কারণে তা হতে পারে৷ কোনো নতুন হার্ডওয়্যার সেটিংস পরিবর্তনের ফলে যদি উইন্ডোজ বার বার সেফ মোডে চলে যায় তবে পূর্ববর্তী সেটিংসটি রিভার্স করে ফেলাই শ্রেয়৷ সেফ মোডকে এজন্য ডায়াগনিস্টিক মোডও বলা হয়৷ উইন্ডোজ ২০০০/এক্সপি/২০০৩ চালু হওয়ার সময় F8 চাপলে যে মেনু আসে সেখান থেকে সেফ মোড চালু করা যেতে পরে৷ তবে আগেই বলা হয়েছে; এটি ডায়াগনিস্টিক মোড৷ এই মোডে বাড়তি কোনো কিছুই যেমন- সাউন্ড, প্রিন্টার, হাই কালার ডিসপ্লে ইত্যাদি কিছুই কাজ করবে না৷
শুরুতেই ‘One or more services failed to start এ ধরনের বার্তা :
সাধারণ উইন্ডোজ ২০০০ বা এক্সপি হতে এ ধরনের সমস্যা বেশি দেখা যায়৷ এর কারণ হলো উইন্ডোজ লোডিং এর সময় বেশ কিছু Service কে Start করে৷ যদি কোনো Service start হওয়ার জন্য ঠিক মতো কনফিগার করা না থাকে তবেই এই মেসেজ দিতে পারে৷
করণীয় : এই সমস্যা সমাধানের জন্য আপনি কন্ট্রোল প্যানেলের এডমিনিস্ট্রেটিভ টুলস এর Service-এ যান এখানের অপ্রয়োজনীয় Service গুলো Stop অথবা manual করে দিন৷ তবে যদি এ সমন্ধে ধারণা না থাকে তবে তা পরিবর্তন না করাই ভালো৷ উল্লেখ্য Startup-এ প্রাপ্ত মেসেজটি OK করলেই চলে যায় এটি তেমন সমস্যা করে না৷ আরেকটি কারণে এ সমস্যা হতে পারে আর সেটি হলো যদি আপনার কম্পিউটারে নেটওয়ার্ক কার্ড (LAN) থাকে এবং তাতে IP Configure করা থাকে কিন্তু LAN Card টি Disconnected থাকে৷ এক্ষেত্রে সে Network Service চালু করতে না পেরে এই মেসেজ দেয়৷ সেজন্য LAN Card টি Hub বা অন্য পিসি‘র সঙ্গে সঠিকভাবে কানেক্ট করে দিন৷
উইন্ডোজের পুরাতন ভার্সনের প্রোগ্রাম চলছেনা নতুন ভার্সনে :
এসব ক্ষেত্রে যে সফটওয়্যারটি উইন্ডোজের যে ভার্সনে কম্প্যাটিবল সেটি চালানো উচিত৷ সাপোর্ট করে না এমন সফটওয়্যার চালালে উইন্ডোজের ক্ষতি হতে পারে৷ সেক্ষেত্রে উইন্ডোজের জন্য Supported Version খুঁজে বের করে তা চালালেই চলবে৷ কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় যে কিছু কিছু গেম ও সফটওয়্যার Win98-এ চলছে কিন্তু Win2000-এ চলছে না৷ এক্ষেত্রে ঐ সফটওয়্যার ও গেমগুলোর ডস কম্প্যাবিলিটির কারণেই এই সমস্যা৷ ডস ছাড়া ঐগুলো চলবে না৷
উইন্ডোজ ৯৮-এ সাপোর্ট করে কিন্তু উইন্ডোজ ২০০০-এ চলছে না- এমন হার্ডওয়্যার :
এক্ষেত্রে মূল সমস্যা হলো ঐ হার্ডওয়্যারগুলোর ড্রাইভার সফটওয়্যার যা Win98-এর জন্য ডেভেলপ করা হয়েছে কিন্তু Windows 2000-এর জন্য নয়৷ এক্ষেত্রে অনলাইন হতে সঠিক ড্রাইভার সফটওয়্যারটি পাওয়া গেলে সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে৷
ড্রাইভার সাইনিং নিয়ে বিপত্তি :
Driver Signing-এর ব্যাপারটি হলো প্রতিটি Hardware-এর ই একটি Digital Signature থাকে যা প্রতিটি ওএস-এর জন্য ভিন্ন৷ এই ডিজিটাল সিগনেচার দ্বারা বোঝা যায় যে হার্ডওয়্যারটি পুরোপুরি ঐ ওএস সাপোর্টেড কিনা৷ Control panel-system-Hardware-এ Driver Signing Button-এ ক্লিক করলে তিন ধরনের অপশন পাওয়া যাবে৷ ১. Ignore, ২. Warn (Default) ও Block
গ্রাফিক্স কার্ড ট্রু কালার দেখাচ্ছে না :
গ্রাফিক্স কার্ডের কালার সেটিং অপশনটি আপনি ডেস্কটপে রাইট মাউস ক্লিক করে প্রোপার্টিজ-এর সেটিং ট্যাবে Color setting ও Screen area হতে নির্ধারণ করতে পারেন৷ কিন্তু যদি এখানে True Color অপশনটি না আসে তাহলে বুঝতে হবে যে আপনার গ্রাফিক্স কার্ডের ড্রাইভারটি ঠিকমতো লোড হয়নি অথবা আপনার কম্পিউটারটি নরমাল মুডে চলছে না৷ যদি গ্রাফিক্স কার্ডটি ঠিকমতো ইনস্টল না হয় তবে Setting Tab-এর Advance Button-এ ক্লিক করুন৷ এবার Adapter Tab হতে Change বাটনে ক্লিক করে পুনরায় গ্রাফিক্স এর ড্রাইভারটি চিনিয়ে দিন- এক্ষেত্রে গ্রাফিক্স কার্ডের ড্রাইভারের সিডিটি প্রয়োজন হতে পারে৷
কম্পিউটার শুরুতে বীপ শব্দ করছে :
কম্পিউটারে পাওয়ার দেয়া মাত্র তা কিছু Indicating Beep দিয়ে থাকে যা দ্বারা বোঝা যায় কম্পিউটারের অবস্থা৷ নিচে এগুলো উল্লেখ করা হলো৷
Beep সংখ্যা-১ : কেসিংয়ে অভ্যন্তরীন সমস্ত PCI, ISA (পেরিফেরাল), কী-বোর্ড, মাউস, র্যাম ও প্রসেসর মাদার বোর্ডের সহিত সঠিকভাবে সংযুক্ত আছে৷
কম্পিউটার চালু হতে কোনো সমস্যা হলে তা হলো HDD, Floppy, CD ROM Drive এবং মনিটরের সংযোগ সমস্যা হতে পারে৷ সেগুলো খেয়াল করুন৷
Beep সংখ্যা ২, ৩ ও ৪ : রেম সঠিকভাবে রেম স্লটে সংযুক্ত হয়৷ রেমটি খুলে নতুন করে সংযোগের চেষ্টা করে দেখুন৷
Beep সংখ্যা ৫ : সব কার্ড মাদার বোর্ডে ঠিকমতো লাগানো আছে কি-না দেখুন৷
Beepসংখ্যা ৬ : মাদার বোর্ডে কী-বোর্ড সংযোগ স্থলে সমস্যা৷
Beep সংখ্যা ৭ : প্রসেসর সমস্যাযুক্ত অথবা প্রসেসর সংযোগে সমস্যা৷
Beep সংখ্যা ৮ : ভিডিও কার্ড কাজ করছে না অথবা সংযোগ সমস্যা৷
Beep সংখ্যা ৯ : এটি খুব বিরল এবং ভয়ানক এটি নির্দেশ করে আপনার মাদার বোর্ডের বায়োসটি খারাপ হয়ে থাকতে পারে৷
Beep সংখ্যা ১০ : এটিও পূর্বের মতো বিরল৷ এটি নির্দেশ করে যে আপনার মাদার বোর্ডের CMOS Chip টি নষ্ট যা বায়োস এর সেটআপকে সেভ রাখে৷
মাউস এবং কী-বোর্ড যখন বিগড়ে যায় :
কী-বোর্ড যদি কম্পিউটারের সাথে সংযুক্ত না থাকে তবে কম্পিউটারই চালু হবে না৷ এ ব্যাপারে বিশেষ খেয়াল রাখতে হবে৷ কী-বোর্ডে আরেকটি সমস্যা হলো যে বাটনে যা আসার কথা তা না এসে বিচিত্র আচরণ করছে- এক্ষেত্রে আপনি কন্ট্রোল প্যানেলে কী-বোর্ড থেকে ল্যাঙ্গুয়েজ ট্যাবে যান৷ লে-আউট ইউনাইটেড স্টেট সিলেক্ট করুন যদি তা না থাকে তবে add এর মাধ্যমে united states (101) ইনস্টল করে নিন৷ মাউসের সমস্যাগুলোর মধ্যে প্রথমটিই হলো সংযোগ ঠিক থাকা সত্ত্বেও মাউস না পাওয়া৷ এক্ষেত্রে কী-বোর্ডের মাধ্যমে Start-Setting-Control Panel-এর মাধ্যমে সিস্টেম সিলেক্ট করে এন্টার প্রেস করুন৷ এখান থেকে Device manager/ Hardware ট্যাবে গিয়ে মাউস সিলেক্ট করে Properties-এ যান৷ এখান হতে update driver-এর মাধ্যমে Standard মাউসটি লোড করুন৷ এরপর আপনার কম্পিউটারটি রিস্টার্ট দিন৷ এখানে জেনে রাখা ভালো যে, Serial এর মাউস কম্পিউটার চালু অবস্থায় সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে পুন সংযোগ দিলে তা পাওয়া যায় কিন্তু PS2-এ মাউসে কম্পিউটার Restart দিতে হয়৷
মেমোরি ডাম্প এরর :
হার্ডওয়ারগত কারণে যদি র্যামে সমস্যা হয় তবে উইন্ডোজ লোড হতে প্রয়োজনীয় মেমোরি স্পেস পায় না, যে কারণে Memory Dump সমস্যাটি দেখায়৷ কিন্তু উইন্ডোজ ২০০০-এ সমস্যাটির আধিক্য দেখা যায়৷ এর কারণ উইন্ডোজ ২০০০ তার প্রতিটি Hardware Configuration-এর তথ্য নিয়ে সেই অনুযায়ী লোড হয় এক্ষেত্রে RAM পরিবর্তন হলে বা উইন্ডোজের সমস্যার কারণে RAM Read করতে না পারলে এই সমস্যাটি দেখা যায়৷ উইন্ডোজ ২০০০ হলে এক্ষেত্রে তা নতুন করে ইনস্টল করাই শ্রেয়৷
আপনি থেকেই পিসি রির্স্টাট হচ্ছে :
বিভিন্ন কারণে এটি হতে পারে৷ যেমন-
১. RAM এ ত্রুটি
২. অপারেটিং সিস্টেমে ত্রুটি
৩. ভাইরাসজনিত সমস্যা
এক্ষেত্রে ভাইরাস চেক করে নতুন করে OS লোড করুন৷ তাতেও সমাধান না হলে রেম চেঞ্জ করুন৷ তবে মাঝে মাঝে কোনো সফটওয়্যার সাপোর্ট না করলে তার মাধ্যমে কম্পিউটার অটোমেটিক্যালি রিবুট হয়৷ সেক্ষেত্রে সফটওয়্যারটি আনস্টল করে দিন৷
হার্ডওয়্যার কনফ্লিক্ট সমস্যা :
এই সমস্যাটি হলে উইন্ডোজের শুরুতেই হয়৷ সাধারণত একাধিক হার্ডওয়্যার একই আইআরকিউ (IRQ) বা রিসোর্স ব্যবহার করলে এ ধরনের সমস্যা হতে পারে৷ তবে একই আইকিউ ব্যবহার করলেই এমন সমস্যা অনিবার্য নয়৷ সাধারণ কোনো ডিভাইসের সমস্যার কারণে সেটি অন্য ডিভাইসকে কিছুটা প্রভাবিত করায় এই সমস্যা দেখা দেয়৷ কিংবা কোনো হার্ডওয়্যারের ড্রাইভার সফটওয়্যারটি পুরোপুরি আনইনস্টল না করে সেই হার্ডওয়্যারটি অপসারণ করে সেই স্লটে নতুন হার্ডওয়্যার স্থাপন৷ কিংবা ভিন্ন স্লটে স্থাপিত দুটি হার্ডওয়্যারের ড্রাইভার ইনস্টলের সময় তাদেরকে একই স্লট লোকেট করে দেয়ার জন্য অথবা প্রিন্টার সংযোগ একপোর্টে আর প্রিন্টারের ড্রাইভার অন্য পোর্টে ইন্সটল করলে হার্ডওয়্যার কনফ্লিক্ট হতে পারে৷ এজন্য হার্ডওয়্যার সংযোগ ব্যবস্থা খেয়াল করে সেই অনুযায়ী ড্রাইভার লোড করা উচিত৷ অবশ্য বর্তমানে Plug & Play হার্ডওয়্যারগুলোতে এই সমস্যা বিরল৷
পিসির তাপমাত্রা বেড়ে গেলে :
অনেকক্ষণ সিডি ড্রাইভে সিডি রান করলে পিসি উত্তপ্ত হতে পারে৷ সাধারণত টানা ২-৩ ঘন্টা হার্ডডিস্ক চললে তা এমনিতেই উত্তপ্ত হয়৷ মনিটর আধা ঘন্টায় প্রচুর উত্তপ্ত হয়৷ এগুলো সাধারণ ঘটনা৷ এজন্য একই রুূমে অনেক পিসি চললে রুমটি এয়ার কন্ডিশড হওয়া বাঞ্চনীয়৷ এ ব্যাতিরেকেও যদি পিসি‘র কোনো একটি ডিভাইস অস্বাভাবিক উত্তপ্ত হয় তাহলে বুঝতে হবে সেটিতে বিশেষ সমস্যা আছে৷ সেটি বদলে ফেলুন অথবা কম্পিউটার প্রফেশনালের সাহায্য নিন৷ অনেকেই পুরাতন পিসিতে প্রসেসরের কুলিং ফ্যানটি পরিবর্তন করে বড় এবং নতুন ফ্যান লাগিয়ে থাকেন৷ বিষয়টি মন্দ নয়৷
উইন্ডোজ ৯৮-এ পেনড্রাইভ চালাতে সমস্যা :
সাধারণ মাদার বোর্ডের সাথে সংযুক্ত ইউএসবি পোর্টগুলোর ড্রাইভার উইন্ডোজ ৯৮-এ লোড হয় না বা আমরা মাদার বোর্ডের এজিপি ও সাউন্ড ছাড়া অন্য কোনো ডিভাইস লোড করি না৷ এজন্য ইউএসবি প্রিন্টার, স্ক্যানার ও পেন ড্রাইভ অটো ডিটেক্ট করে না৷ এ সমস্যা সমাধানের জন্য উইন্ডোজ ৯৮ লোড করার সাথে সাথে মাদারবোর্ডের সিডি হতে ইউএসবি পোর্টও লোড করে দিতে হবে৷
সাউন্ড নিয়ে সমস্যা :
প্রথমে ডিভাইস ম্যানেজার থেকে নিশ্চিতভাবে সাউন্ড কার্ডের জন্য কোনো ড্রাইভার লোড করা আছে কি-না ? যদি সঠিক ড্রাইভার লোড করা থাকে তবে সাউন্ড আসার কথা৷ এ ক্ষেত্রে Control panel-এর Sound & Multimedia option হতে audio-তে গিয়ে দেখুন Volume mute করা কি-না৷ থাকলে তা উঠিয়ে দিন৷ এতেও যদি সাউন্ড না আসে তবে ড্রাইভার ভার্সনটি সঠিক নয়৷ কিংবা সাউন্ড কার্ড নষ্ট৷ এক্ষেত্রে সঠিক ড্রাইভার লোড করুন কিংবা সাউন্ড কার্ড পরিবর্তন করুন৷ কিন্তু আপনি যদি নিশ্চিত হন যে, ড্রাইভার ভার্সন এবং সাউন্ড কার্ড ঠিকই আছে সেক্ষেত্রে মাদাবোর্ডে ভিন্ন স্লটে সাউন্ড কার্ডটি সংযোগ করে দেখতে পারেন৷ এরপর দেখুন সাউন্ড কার্ডের সঠিক পোর্টে স্পিকার লাগানো আছে কি-না৷ আজকাল বেশিরভাগ মাদারবোর্ডেই সাউন্ড বিল্টইন থাকে৷ অনেকে ভালো
পারফরমেন্সের জন্য পিসিআই স্লটে উন্নত সাউন্ডকার্ড লাগিয়ে নেন৷ এতে লক্ষ রাখতে হবে মাদারবোর্ড কোনটি ব্যবহারের অপশন নির্বাচন করা হয়েছে৷ উইন্ডোজ ২০০৩ সার্ভারে বাই ডিফল্ট সাউন্ড অফ থাকে৷ শুরুতেই তা চালু করে নেয়া যেতে পারে৷ এজন্য কন্ট্রোল প্যানেল থেকে সাউন্ড অপশনটি সিলেক্ট করুন৷
অনেক গেইমই আপনার গ্রাফিক্স কার্ডকে সমর্থন করে না :
গ্রাফিক্স কার্ড কিছু কিছু ক্ষেত্রে কোনো কোনো গেম চালাতে দেয় না৷ এক্ষেত্রে যে সমস্যাটি হয় তাহলো গ্রাফিক্স কার্ডের কালার সেটিং ও স্ক্রিন রেজুলেশন-এর সঙ্গে গেম-এর সেটিং খাপ খায় না৷ এক্ষেত্রে তা পরিবর্তন করে দেখতে পারেন৷ DirectX লোডিং এর মাধ্যমে DirectX Supported গেম খেলতে পারেন৷ কিন্তু আপনার গেমটি থ্রিডি হয় এবং আপনার গ্রাফিক্স কার্ড থ্রি ডি সাপোর্ট না করে সেক্ষেত্রে আপনি গেমসটি খেলতে পারবেন না৷ এখন বাজারে মোটামুটি সব গ্রাফিক্স কার্ডই থ্রি ডি সাপোর্টেড৷
হার্ডডিস্ক যখন ক্ষতিগ্রস্থ :
হার্ডডিস্কে সাধারণত দুই ধরনের বেড সেক্টর পড়তে পারে৷ একটি Logical bad sector অন্যটি Physical bad sector৷ যদি হার্ড ডিক্স রীতিমতো স্ক্যান ও ডিফ্রাগমেনিক করা না হয় তবে হার্ডডিস্কের সিলিন্ডারের সেক্টর সমূহ পরস্পরের মধ্যকার লিংক হারিয়ে ফেলে৷ এতে করে ডাটা উদ্ধার অত্যনত্ম জটিল হয়ে পড়ে এবং ডাটা সেন্ডিং স্পিড কমে যায়- এক কথায় বলতে গেলে সেক্টর এড্রেসগুলো এলোমেলো হয়ে যায়৷ এ অবস্থাকে বলে Fragmentation৷ এ অবস্থায় আরো বেশি দিন চললে হার্ডডিস্কে লজিক্যাল ব্যাড সেক্টর পড়তে পারে এমনকি Hard disk Crash ও করতে পারে৷ নিয়মিত Scandisk, defragmenter চালানোর মাধ্যমে হার্ডডিস্ককে logical bad sector হতে রক্ষা করা যায়৷ এমনকি logical bad sector পড়লে Hard disk-এর ঐ ড্রাইভকে ফরম্যাট করলে logical bad sector দুর হবে৷ আর চলতে চলতে হঠাত্ বন্ধ বা পাওয়ার অফ হলে Read write head টি হঠাত্ ঘূর্ণায়মান সিলিন্ডারে উপর পড়ে ডিস্ক এ স্ক্যাচ ফেলতে পারে কিংবা অতিরিক্ত নাড়া চাড়া কিংবা পরিবহনের সময় ঝাঁকুনি হার্ডডিস্কের সিলিন্ডার আঘাতপ্রাপ্ত হতে পারে বা হার্ডডিক্স পড়ে গেলে সিলিন্ডার ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে৷ এভাবে সিলিন্ডারে ফিজিক্যালি বেড সেক্টর পড়তে পারে৷ হার্ডডিস্ক কে সাবধানে হ্যান্ডেলিং করার মাধ্যমে একমাত্র
এটিকে রোধ করা সম্ভব৷ অসাবধানতা বশত যদি বেড সেক্টর পড়েই যায় তাহলে তা কোন অংশে পড়েছে স্ক্যানডিস্কের মাধ্যমে অনুমান সেই অংশটুকু করে Partition magic সফটওয়্যারের মাধ্যমে সেই অংশটুকু unallocated রেখে বাকি অংশ পার্টিশন করুন৷ তবে ঐ অংশে Bad sector আর বাড়বে না ও বিরক্তও করবে না৷
দ্বিতীয় বিষয়টি হলো কম্পিউটারের নিজস্ব সমস্যা৷ এর মধ্যে রয়েছে-
=> হার্ডওয়্যার সেটিং সমস্যা
=> হার্ডওয়্যার কনফিগার করার সমস্যা
=> হার্ডওয়্যার ডিটেক্ট সমস্যা
=> বায়োস সেটিং সমস্যা
=> কম্পিউটারের বুট সমস্যা
=> সফটওয়ার ইন্সটল সমস্যা
=> সফটওয়্যার সাপোর্ট ও আপডেট সমস্যা
=> তৃতীয় পক্ষের আক্রমণ তথা ভাইরাস ও সিকিউরিটি সমস্যা৷
=> হার্ডওয়্যার নষ্ট হয়ে যওয়াকৃত সমস্যা৷
এ ধরনের কিছু সমস্যা ও তার সমাধান নিয়ে এখানে আলোচনা করা হলো-
নতুন ইউজারদের জন্য কিছু সতর্কতাঃ
ডাটাকে ব্যাকআপরাখা
নিয়মিত ডাটাকে ব্যাকআপ রাখলে কোনো সমস্যায় নিজেকে রক্ষা করতে পারবেন৷ ব্যাকআপ মানে হলো ডাটাকে অন্যকোথাও সেভ করে রাখা যার ফলে যে ফাইলটিতে আপনি কাজ করছেন তা মুছে গেলে, কোনোভাবে নষ্ট হলে অন্যত্র সেভকরে রাখা কপিটি আবার পুনরুদ্ধার করে কাজ করতে পারবেন৷ উইন্ডোজের নিজস্ব ব্যাকআপ টুলস রয়েছে যেটা ইন্সটল করে নিতে পারেন এ্যাড রিমুভ প্রোগামস, উইন্ডোজ সেটআপ, সিস্টেম টুলস থেকে ডিটেইলসে ক্লিক করুন৷ এবার ব্যাকআপ অন করে ওকে করলে সফটওয়্যারটি ইন্সটল হবে৷ ইন্সটল হওয়ার পর ব্যাকআপ টুলসটি পাবেন স্টার্মমেনু্যর প্রোগ্রামস>এক্সেসরিজ>সিস্টেম টুলসের ভেতর৷ এটির হেল্পে ডিটেইলস বলা আছে কিভাবে ধাপে ধাপে ব্যাকআপ করা যায়, এবং এটা বেশ সহজ৷ এটি দিয়ে ব্যাকআপ করাছাড়াও ম্যানুয়ালী যে ফাইলটিতে বর্তমানে কাজ করছেন সেটি অন্যত্র ফ্লপি বা হার্ডডিস্কের অন্য জায়গাও ডুপ্লিকেট কপি রাখতে পারেন যেটি পারেন দারুণ সাহায্য করবে মূল ফাইল করাপ্ট হলে৷
কম্পিউটারকেপরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখুন
আমাদের দেশে ধুলাবালি একটু বেশি যে কারণে কম্পিউটারকে কাজ শেষেমনিটর, সিপিইউ ঠান্ডা হওয়ার পর শুকনো কোনো কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখা ভালো৷ গরম অবস্থায় মনিটর বা সিপিইউ ঢাকা উচিত নয়৷ বেশি ধুলা যাতে কম্পিউটারে ঢোকার সুযোগ না পায় সেজন্য বাইরের জানালার পাশে মনিটর রাখা উচিত নয়৷ কোনো মতেই কম্পিউটার যেন আদ্রতা প্রবেশনা করতে পারে সেটাও নিশ্চিত করুন৷ এক মাস অন্তর অন্তর কী- বোর্ড, মাউস ইত্যাদি পরিষ্কার করতে পারেন৷ অন্যথায় অবশ্যই কেসিং খুলতে যাবেন না৷ ময়লা পরিষ্কার করতে কোনো ধরনের কেমিক্যাল ব্যবহার করবেন না৷ শুকনো কাপড় ব্যবহার করুন৷ অথবা সামান্য ভিজিয়ে পুরো পানি নিংড়ে তারপর কী-বোর্ড বা মনিটরের কাভার পরিষ্কার করতে পারেন৷ কখনোই মনিটরের স্ক্রিনে পানি বা অন্যকোনো তরল লাগাতে যাবে না৷ এটি পরোক্ষভাবে সেটাকে ক্ষতি করে৷ আঙ্গুলের দাগ লাগলে শুকনো কাপড় দিয়ে মুছতে পারেন৷
পাওয়ার সাপ্লাইটি সম্পর্কে সচেতন থাকুন
হার্ডওয়্যার বা সফটওয়্যারের যত্ন অনেক নিলেও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়অনেক সময় আমাদের চোখ এড়িয়ে যায় যেটার কারণে অনেক সময়েই আমাদের ভোগান্তি পোহাতে হয়৷ পাওয়ার সাপ্লাইটি ভালো হওয়া খুব জরুরী৷ আমাদের দেশে অনেক এলাকায়ই বিদু্যত্ খুব বেশি উঠানামা করে যেটি কম্পিউটারের জন্যখুবই ক্ষতিকর৷ এজন্য একটি ভালো স্ট্যাবিলাইজার থাকাটা জরুরি৷ তবে তারচেয়েও আরেকটি বিষয় জরুরি সেটা হলো আর্দিং রাখা৷ খুব সহজেই ইলেকট্রিশিয়ান ডেকে আপনার কম্পিউটার লাইনটির আর্দিং আছে কিনা তা নিশ্চিত হয়ে নিতে পারে৷ আর্দিং না থাকার কারণে দেখা যায় অনেক সময় কোনো কোনো হার্ডওয়্যার সমস্যা হতে পারে, হার্ডডিস্ক বা মাদারবোর্ড ক্ষতিগ্রস্থও হতে পারে৷ প্রধান পাওয়া সোসর্সে ভালো সার্কিট ব্রেকার রাখুন যা অধিক ভোল্টেজ থেকে আপনার পিসি ও অন্যান্য যন্ত্রাংশ রক্ষা করবে৷ সার্কিট ব্রেকারের তার যেন বেশি মোটা (বা বেশি সরু)না হয় যেটা অনেক ক্ষেত্রেই হয়ে থাকে যার ফলে বিদু্যত্ খুব বেশি বেড়ে গেলে সঠিকভাবে কাজ করে না৷
কম্পিউটারের নিজস্ব সমস্যাও তার সমাধানঃ
হার্ডওয়্যার ও মাদারবোর্ড সেটিং ঠিকই আছেকিন্তু পিসি পাওয়ার পাচ্ছে না :
=> কেসিং-এর পাওয়ার সাপ্লাইটি চেক করুন এখানে সমস্যা থাকতে পারে৷
=> কেসিংয়ের পাওয়ার সুইচের সাথে মাদারবোর্ডের যে সংযোগ সেটি ঠিক আছে কিনা চেক করুন৷
অনেক সময় বিদু্যত্ সরবরাহ বিচ্ছিন্ন হয়ে আবার ফিরে আসার পরে পাওয়ার আসে না৷ এর কারণ মাদারবোর্ডের পাওয়ার ক্যাপাসিটর ঠিকমতো ডিসচার্জ/নিউট্রাল না হওয়া৷ এজন্য আপনি পরবর্তীতে পাওয়ার অন করার পূর্বে পাওয়ার সাপ্লাই থেকে পাওয়ার কর্ডটি সম্পূর্ণ বিচ্ছিন করে নতুন করে সংযোগ দিন৷
কম্পিউটার হার্ডডিস্ককে ডিটেক্ট করছে না :
কম্পিউটার ব্যবহারকারীদের এ ধরনের সমস্যায় প্রায়ই পড়তে হয়৷ বিভিন্ন কারণে কম্পিউটারে পাওয়ার দেওয়ার পর হার্ডডিস্ককে কম্পিউটার ডিটেক্ট করতে পারে না৷
সমস্যার সম্ভাব্য কারণসমূহ:
১. ভালোভাবে লক্ষ্য করুন হার্ডডিস্কের সাথে কেসিংয়ের পাওয়ার সাপ্লাই থেকে আসা পাওয়ার কর্ডটি ঠিকমতো সংযুক্ত আছে কি-না৷
২. হার্ডডিস্কটির সাথে মাদার বোর্ডের আইডিই বাস ক্যাবল দ্বারা সঠিকভাবে সংযুক্ত আছে কি-না৷
৩. হার্ড ডিস্কের জাম্পার সেটিং ঠিক আছে কিনা ? এক্ষেত্রে হার্ডডিস্কের জাম্পার দুইভাবে সেট করা যায় একটি মাস্টার সেটিং অন্য স্লেভ সেটিং৷
৪. হার্ড ডিস্কটি মাদারবোর্ডের সাথে প্রাইমারি না সেকেন্ডারি হিসেবে সংযুক্ত নিশ্চিত হোন৷
৩ ও ৪ নং কনফিগারেশরনের জন্য যদি একই সেটিংসে একাধিক IDE Device (CD ROM, HDD) থাকে তবে তা পাওয়া নাও যেতে পারে- যেমন দেখা গেল যে একটি HDD ও একটি CD Rom উভয়েই Secondary master হিসেবে কনফিগার করা৷ এক্ষেত্রে দুটি Device-এর কোনো একটি নাও পাওয়া যেতে পারে৷
৫. BIOS-এ IDE অটো ডিটেক্ট অপশনটি ডিজেবল থাকলে তা ৪টি IDE ডিভাইসের জন্য এনাবল করতে হবে নতুবা ম্যানুয়ালি HDD কে ডিটেক্ট করিয়ে দিতে হবে৷
‘অপারেটিং সিস্টেম নট ফাউন্ড, NTLDR মিসিং‘ :
সাধারণ উইন্ডোজ এক্সপি, উইন্ডোজ ২০০০ কিংবা এনটি উইন্ডোজ সমূহে এ সমস্যাটি হয়ে থাকে৷ এ সমস্যাটি একবার হয়ে গেলে নতুন করে উইন্ডোজ লোড দেয়া ছাড়া উপায় নেই৷ বরং হওয়ার আগেই একটি Boot Floppy তৈরি করে তাতে সিস্টেম ড্রাইভ হতে (যে ড্রাইভে উইন্ডোজ লোড থাকে) Folder option-এ গিয়ে Show all file option টি Enable এবং Hide protected file চেক বক্স হতে Check উঠিয়ে boot.ini; ntdetect.com; ntldr ফাইল তিনটি কপি করে boot floppy তে রেখে দিন৷ পরবর্তীতে সমস্যা হলে boot floopy দিয়ে মেশিন বুট করে সিস্টেম ড্রাইভে ফাইল তিনটি আবার কপি করে রাখুন৷
সাধারণত HDD তে Bad Sector থাকলে কিংবা সংযোগ ব্যবস্থা পরিবর্তন করলে কিংবা ভাইরাস জনিত কারণে এ সমস্যা হতে পারে৷
সেফ মোডে কম্পিউটার চালু হচ্ছে :
উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম স্বাভাবিকভাবে চালু হতে না পারলে অনেক সময় সেফ মোডে চালু হয়৷ সেফ মোড হলো উইন্ডোজের বিশেষ একটি অবস্থা যখন এটি একেবারে প্রয়োজনীয় ফাইল এবং ড্রাইভারসমূহ নিয়ে লোড হয়৷ বলা যেতে পারে ‘বিপদকালীন‘ অবস্থা যখন নূন্যতম রসদ দিয়ে প্রাণে বেচে থাকাটাই গুরুত্বপূর্ণ৷ সেফ মোডে উইন্ডোজ চালু হলে প্রাথমিক ভাবে রিস্টার্ট করে দেখা যেতে পারে পুনরায় স্বাভাবিকভাবে তা চালু হয় কিনা৷ বার বার করে ব্যর্থ হলে বুঝতে হবে সমস্যাটি গুরুতর৷ উইন্ডোজের কোনো গুরুত্বপূর্ণ ফাইলের ক্ষতি বা হার্ডওয়ারের সমস্যার কারণে তা হতে পারে৷ কোনো নতুন হার্ডওয়্যার সেটিংস পরিবর্তনের ফলে যদি উইন্ডোজ বার বার সেফ মোডে চলে যায় তবে পূর্ববর্তী সেটিংসটি রিভার্স করে ফেলাই শ্রেয়৷ সেফ মোডকে এজন্য ডায়াগনিস্টিক মোডও বলা হয়৷ উইন্ডোজ ২০০০/এক্সপি/২০০৩ চালু হওয়ার সময় F8 চাপলে যে মেনু আসে সেখান থেকে সেফ মোড চালু করা যেতে পরে৷ তবে আগেই বলা হয়েছে; এটি ডায়াগনিস্টিক মোড৷ এই মোডে বাড়তি কোনো কিছুই যেমন- সাউন্ড, প্রিন্টার, হাই কালার ডিসপ্লে ইত্যাদি কিছুই কাজ করবে না৷
শুরুতেই ‘One or more services failed to start এ ধরনের বার্তা :
সাধারণ উইন্ডোজ ২০০০ বা এক্সপি হতে এ ধরনের সমস্যা বেশি দেখা যায়৷ এর কারণ হলো উইন্ডোজ লোডিং এর সময় বেশ কিছু Service কে Start করে৷ যদি কোনো Service start হওয়ার জন্য ঠিক মতো কনফিগার করা না থাকে তবেই এই মেসেজ দিতে পারে৷
করণীয় : এই সমস্যা সমাধানের জন্য আপনি কন্ট্রোল প্যানেলের এডমিনিস্ট্রেটিভ টুলস এর Service-এ যান এখানের অপ্রয়োজনীয় Service গুলো Stop অথবা manual করে দিন৷ তবে যদি এ সমন্ধে ধারণা না থাকে তবে তা পরিবর্তন না করাই ভালো৷ উল্লেখ্য Startup-এ প্রাপ্ত মেসেজটি OK করলেই চলে যায় এটি তেমন সমস্যা করে না৷ আরেকটি কারণে এ সমস্যা হতে পারে আর সেটি হলো যদি আপনার কম্পিউটারে নেটওয়ার্ক কার্ড (LAN) থাকে এবং তাতে IP Configure করা থাকে কিন্তু LAN Card টি Disconnected থাকে৷ এক্ষেত্রে সে Network Service চালু করতে না পেরে এই মেসেজ দেয়৷ সেজন্য LAN Card টি Hub বা অন্য পিসি‘র সঙ্গে সঠিকভাবে কানেক্ট করে দিন৷
উইন্ডোজের পুরাতন ভার্সনের প্রোগ্রাম চলছেনা নতুন ভার্সনে :
এসব ক্ষেত্রে যে সফটওয়্যারটি উইন্ডোজের যে ভার্সনে কম্প্যাটিবল সেটি চালানো উচিত৷ সাপোর্ট করে না এমন সফটওয়্যার চালালে উইন্ডোজের ক্ষতি হতে পারে৷ সেক্ষেত্রে উইন্ডোজের জন্য Supported Version খুঁজে বের করে তা চালালেই চলবে৷ কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় যে কিছু কিছু গেম ও সফটওয়্যার Win98-এ চলছে কিন্তু Win2000-এ চলছে না৷ এক্ষেত্রে ঐ সফটওয়্যার ও গেমগুলোর ডস কম্প্যাবিলিটির কারণেই এই সমস্যা৷ ডস ছাড়া ঐগুলো চলবে না৷
উইন্ডোজ ৯৮-এ সাপোর্ট করে কিন্তু উইন্ডোজ ২০০০-এ চলছে না- এমন হার্ডওয়্যার :
এক্ষেত্রে মূল সমস্যা হলো ঐ হার্ডওয়্যারগুলোর ড্রাইভার সফটওয়্যার যা Win98-এর জন্য ডেভেলপ করা হয়েছে কিন্তু Windows 2000-এর জন্য নয়৷ এক্ষেত্রে অনলাইন হতে সঠিক ড্রাইভার সফটওয়্যারটি পাওয়া গেলে সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে৷
ড্রাইভার সাইনিং নিয়ে বিপত্তি :
Driver Signing-এর ব্যাপারটি হলো প্রতিটি Hardware-এর ই একটি Digital Signature থাকে যা প্রতিটি ওএস-এর জন্য ভিন্ন৷ এই ডিজিটাল সিগনেচার দ্বারা বোঝা যায় যে হার্ডওয়্যারটি পুরোপুরি ঐ ওএস সাপোর্টেড কিনা৷ Control panel-system-Hardware-এ Driver Signing Button-এ ক্লিক করলে তিন ধরনের অপশন পাওয়া যাবে৷ ১. Ignore, ২. Warn (Default) ও Block
গ্রাফিক্স কার্ড ট্রু কালার দেখাচ্ছে না :
গ্রাফিক্স কার্ডের কালার সেটিং অপশনটি আপনি ডেস্কটপে রাইট মাউস ক্লিক করে প্রোপার্টিজ-এর সেটিং ট্যাবে Color setting ও Screen area হতে নির্ধারণ করতে পারেন৷ কিন্তু যদি এখানে True Color অপশনটি না আসে তাহলে বুঝতে হবে যে আপনার গ্রাফিক্স কার্ডের ড্রাইভারটি ঠিকমতো লোড হয়নি অথবা আপনার কম্পিউটারটি নরমাল মুডে চলছে না৷ যদি গ্রাফিক্স কার্ডটি ঠিকমতো ইনস্টল না হয় তবে Setting Tab-এর Advance Button-এ ক্লিক করুন৷ এবার Adapter Tab হতে Change বাটনে ক্লিক করে পুনরায় গ্রাফিক্স এর ড্রাইভারটি চিনিয়ে দিন- এক্ষেত্রে গ্রাফিক্স কার্ডের ড্রাইভারের সিডিটি প্রয়োজন হতে পারে৷
কম্পিউটার শুরুতে বীপ শব্দ করছে :
কম্পিউটারে পাওয়ার দেয়া মাত্র তা কিছু Indicating Beep দিয়ে থাকে যা দ্বারা বোঝা যায় কম্পিউটারের অবস্থা৷ নিচে এগুলো উল্লেখ করা হলো৷
Beep সংখ্যা-১ : কেসিংয়ে অভ্যন্তরীন সমস্ত PCI, ISA (পেরিফেরাল), কী-বোর্ড, মাউস, র্যাম ও প্রসেসর মাদার বোর্ডের সহিত সঠিকভাবে সংযুক্ত আছে৷
কম্পিউটার চালু হতে কোনো সমস্যা হলে তা হলো HDD, Floppy, CD ROM Drive এবং মনিটরের সংযোগ সমস্যা হতে পারে৷ সেগুলো খেয়াল করুন৷
Beep সংখ্যা ২, ৩ ও ৪ : রেম সঠিকভাবে রেম স্লটে সংযুক্ত হয়৷ রেমটি খুলে নতুন করে সংযোগের চেষ্টা করে দেখুন৷
Beep সংখ্যা ৫ : সব কার্ড মাদার বোর্ডে ঠিকমতো লাগানো আছে কি-না দেখুন৷
Beepসংখ্যা ৬ : মাদার বোর্ডে কী-বোর্ড সংযোগ স্থলে সমস্যা৷
Beep সংখ্যা ৭ : প্রসেসর সমস্যাযুক্ত অথবা প্রসেসর সংযোগে সমস্যা৷
Beep সংখ্যা ৮ : ভিডিও কার্ড কাজ করছে না অথবা সংযোগ সমস্যা৷
Beep সংখ্যা ৯ : এটি খুব বিরল এবং ভয়ানক এটি নির্দেশ করে আপনার মাদার বোর্ডের বায়োসটি খারাপ হয়ে থাকতে পারে৷
Beep সংখ্যা ১০ : এটিও পূর্বের মতো বিরল৷ এটি নির্দেশ করে যে আপনার মাদার বোর্ডের CMOS Chip টি নষ্ট যা বায়োস এর সেটআপকে সেভ রাখে৷
মাউস এবং কী-বোর্ড যখন বিগড়ে যায় :
কী-বোর্ড যদি কম্পিউটারের সাথে সংযুক্ত না থাকে তবে কম্পিউটারই চালু হবে না৷ এ ব্যাপারে বিশেষ খেয়াল রাখতে হবে৷ কী-বোর্ডে আরেকটি সমস্যা হলো যে বাটনে যা আসার কথা তা না এসে বিচিত্র আচরণ করছে- এক্ষেত্রে আপনি কন্ট্রোল প্যানেলে কী-বোর্ড থেকে ল্যাঙ্গুয়েজ ট্যাবে যান৷ লে-আউট ইউনাইটেড স্টেট সিলেক্ট করুন যদি তা না থাকে তবে add এর মাধ্যমে united states (101) ইনস্টল করে নিন৷ মাউসের সমস্যাগুলোর মধ্যে প্রথমটিই হলো সংযোগ ঠিক থাকা সত্ত্বেও মাউস না পাওয়া৷ এক্ষেত্রে কী-বোর্ডের মাধ্যমে Start-Setting-Control Panel-এর মাধ্যমে সিস্টেম সিলেক্ট করে এন্টার প্রেস করুন৷ এখান থেকে Device manager/ Hardware ট্যাবে গিয়ে মাউস সিলেক্ট করে Properties-এ যান৷ এখান হতে update driver-এর মাধ্যমে Standard মাউসটি লোড করুন৷ এরপর আপনার কম্পিউটারটি রিস্টার্ট দিন৷ এখানে জেনে রাখা ভালো যে, Serial এর মাউস কম্পিউটার চালু অবস্থায় সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে পুন সংযোগ দিলে তা পাওয়া যায় কিন্তু PS2-এ মাউসে কম্পিউটার Restart দিতে হয়৷
মেমোরি ডাম্প এরর :
হার্ডওয়ারগত কারণে যদি র্যামে সমস্যা হয় তবে উইন্ডোজ লোড হতে প্রয়োজনীয় মেমোরি স্পেস পায় না, যে কারণে Memory Dump সমস্যাটি দেখায়৷ কিন্তু উইন্ডোজ ২০০০-এ সমস্যাটির আধিক্য দেখা যায়৷ এর কারণ উইন্ডোজ ২০০০ তার প্রতিটি Hardware Configuration-এর তথ্য নিয়ে সেই অনুযায়ী লোড হয় এক্ষেত্রে RAM পরিবর্তন হলে বা উইন্ডোজের সমস্যার কারণে RAM Read করতে না পারলে এই সমস্যাটি দেখা যায়৷ উইন্ডোজ ২০০০ হলে এক্ষেত্রে তা নতুন করে ইনস্টল করাই শ্রেয়৷
আপনি থেকেই পিসি রির্স্টাট হচ্ছে :
বিভিন্ন কারণে এটি হতে পারে৷ যেমন-
১. RAM এ ত্রুটি
২. অপারেটিং সিস্টেমে ত্রুটি
৩. ভাইরাসজনিত সমস্যা
এক্ষেত্রে ভাইরাস চেক করে নতুন করে OS লোড করুন৷ তাতেও সমাধান না হলে রেম চেঞ্জ করুন৷ তবে মাঝে মাঝে কোনো সফটওয়্যার সাপোর্ট না করলে তার মাধ্যমে কম্পিউটার অটোমেটিক্যালি রিবুট হয়৷ সেক্ষেত্রে সফটওয়্যারটি আনস্টল করে দিন৷
হার্ডওয়্যার কনফ্লিক্ট সমস্যা :
এই সমস্যাটি হলে উইন্ডোজের শুরুতেই হয়৷ সাধারণত একাধিক হার্ডওয়্যার একই আইআরকিউ (IRQ) বা রিসোর্স ব্যবহার করলে এ ধরনের সমস্যা হতে পারে৷ তবে একই আইকিউ ব্যবহার করলেই এমন সমস্যা অনিবার্য নয়৷ সাধারণ কোনো ডিভাইসের সমস্যার কারণে সেটি অন্য ডিভাইসকে কিছুটা প্রভাবিত করায় এই সমস্যা দেখা দেয়৷ কিংবা কোনো হার্ডওয়্যারের ড্রাইভার সফটওয়্যারটি পুরোপুরি আনইনস্টল না করে সেই হার্ডওয়্যারটি অপসারণ করে সেই স্লটে নতুন হার্ডওয়্যার স্থাপন৷ কিংবা ভিন্ন স্লটে স্থাপিত দুটি হার্ডওয়্যারের ড্রাইভার ইনস্টলের সময় তাদেরকে একই স্লট লোকেট করে দেয়ার জন্য অথবা প্রিন্টার সংযোগ একপোর্টে আর প্রিন্টারের ড্রাইভার অন্য পোর্টে ইন্সটল করলে হার্ডওয়্যার কনফ্লিক্ট হতে পারে৷ এজন্য হার্ডওয়্যার সংযোগ ব্যবস্থা খেয়াল করে সেই অনুযায়ী ড্রাইভার লোড করা উচিত৷ অবশ্য বর্তমানে Plug & Play হার্ডওয়্যারগুলোতে এই সমস্যা বিরল৷
পিসির তাপমাত্রা বেড়ে গেলে :
অনেকক্ষণ সিডি ড্রাইভে সিডি রান করলে পিসি উত্তপ্ত হতে পারে৷ সাধারণত টানা ২-৩ ঘন্টা হার্ডডিস্ক চললে তা এমনিতেই উত্তপ্ত হয়৷ মনিটর আধা ঘন্টায় প্রচুর উত্তপ্ত হয়৷ এগুলো সাধারণ ঘটনা৷ এজন্য একই রুূমে অনেক পিসি চললে রুমটি এয়ার কন্ডিশড হওয়া বাঞ্চনীয়৷ এ ব্যাতিরেকেও যদি পিসি‘র কোনো একটি ডিভাইস অস্বাভাবিক উত্তপ্ত হয় তাহলে বুঝতে হবে সেটিতে বিশেষ সমস্যা আছে৷ সেটি বদলে ফেলুন অথবা কম্পিউটার প্রফেশনালের সাহায্য নিন৷ অনেকেই পুরাতন পিসিতে প্রসেসরের কুলিং ফ্যানটি পরিবর্তন করে বড় এবং নতুন ফ্যান লাগিয়ে থাকেন৷ বিষয়টি মন্দ নয়৷
উইন্ডোজ ৯৮-এ পেনড্রাইভ চালাতে সমস্যা :
সাধারণ মাদার বোর্ডের সাথে সংযুক্ত ইউএসবি পোর্টগুলোর ড্রাইভার উইন্ডোজ ৯৮-এ লোড হয় না বা আমরা মাদার বোর্ডের এজিপি ও সাউন্ড ছাড়া অন্য কোনো ডিভাইস লোড করি না৷ এজন্য ইউএসবি প্রিন্টার, স্ক্যানার ও পেন ড্রাইভ অটো ডিটেক্ট করে না৷ এ সমস্যা সমাধানের জন্য উইন্ডোজ ৯৮ লোড করার সাথে সাথে মাদারবোর্ডের সিডি হতে ইউএসবি পোর্টও লোড করে দিতে হবে৷
সাউন্ড নিয়ে সমস্যা :
প্রথমে ডিভাইস ম্যানেজার থেকে নিশ্চিতভাবে সাউন্ড কার্ডের জন্য কোনো ড্রাইভার লোড করা আছে কি-না ? যদি সঠিক ড্রাইভার লোড করা থাকে তবে সাউন্ড আসার কথা৷ এ ক্ষেত্রে Control panel-এর Sound & Multimedia option হতে audio-তে গিয়ে দেখুন Volume mute করা কি-না৷ থাকলে তা উঠিয়ে দিন৷ এতেও যদি সাউন্ড না আসে তবে ড্রাইভার ভার্সনটি সঠিক নয়৷ কিংবা সাউন্ড কার্ড নষ্ট৷ এক্ষেত্রে সঠিক ড্রাইভার লোড করুন কিংবা সাউন্ড কার্ড পরিবর্তন করুন৷ কিন্তু আপনি যদি নিশ্চিত হন যে, ড্রাইভার ভার্সন এবং সাউন্ড কার্ড ঠিকই আছে সেক্ষেত্রে মাদাবোর্ডে ভিন্ন স্লটে সাউন্ড কার্ডটি সংযোগ করে দেখতে পারেন৷ এরপর দেখুন সাউন্ড কার্ডের সঠিক পোর্টে স্পিকার লাগানো আছে কি-না৷ আজকাল বেশিরভাগ মাদারবোর্ডেই সাউন্ড বিল্টইন থাকে৷ অনেকে ভালো
পারফরমেন্সের জন্য পিসিআই স্লটে উন্নত সাউন্ডকার্ড লাগিয়ে নেন৷ এতে লক্ষ রাখতে হবে মাদারবোর্ড কোনটি ব্যবহারের অপশন নির্বাচন করা হয়েছে৷ উইন্ডোজ ২০০৩ সার্ভারে বাই ডিফল্ট সাউন্ড অফ থাকে৷ শুরুতেই তা চালু করে নেয়া যেতে পারে৷ এজন্য কন্ট্রোল প্যানেল থেকে সাউন্ড অপশনটি সিলেক্ট করুন৷
অনেক গেইমই আপনার গ্রাফিক্স কার্ডকে সমর্থন করে না :
গ্রাফিক্স কার্ড কিছু কিছু ক্ষেত্রে কোনো কোনো গেম চালাতে দেয় না৷ এক্ষেত্রে যে সমস্যাটি হয় তাহলো গ্রাফিক্স কার্ডের কালার সেটিং ও স্ক্রিন রেজুলেশন-এর সঙ্গে গেম-এর সেটিং খাপ খায় না৷ এক্ষেত্রে তা পরিবর্তন করে দেখতে পারেন৷ DirectX লোডিং এর মাধ্যমে DirectX Supported গেম খেলতে পারেন৷ কিন্তু আপনার গেমটি থ্রিডি হয় এবং আপনার গ্রাফিক্স কার্ড থ্রি ডি সাপোর্ট না করে সেক্ষেত্রে আপনি গেমসটি খেলতে পারবেন না৷ এখন বাজারে মোটামুটি সব গ্রাফিক্স কার্ডই থ্রি ডি সাপোর্টেড৷
হার্ডডিস্ক যখন ক্ষতিগ্রস্থ :
হার্ডডিস্কে সাধারণত দুই ধরনের বেড সেক্টর পড়তে পারে৷ একটি Logical bad sector অন্যটি Physical bad sector৷ যদি হার্ড ডিক্স রীতিমতো স্ক্যান ও ডিফ্রাগমেনিক করা না হয় তবে হার্ডডিস্কের সিলিন্ডারের সেক্টর সমূহ পরস্পরের মধ্যকার লিংক হারিয়ে ফেলে৷ এতে করে ডাটা উদ্ধার অত্যনত্ম জটিল হয়ে পড়ে এবং ডাটা সেন্ডিং স্পিড কমে যায়- এক কথায় বলতে গেলে সেক্টর এড্রেসগুলো এলোমেলো হয়ে যায়৷ এ অবস্থাকে বলে Fragmentation৷ এ অবস্থায় আরো বেশি দিন চললে হার্ডডিস্কে লজিক্যাল ব্যাড সেক্টর পড়তে পারে এমনকি Hard disk Crash ও করতে পারে৷ নিয়মিত Scandisk, defragmenter চালানোর মাধ্যমে হার্ডডিস্ককে logical bad sector হতে রক্ষা করা যায়৷ এমনকি logical bad sector পড়লে Hard disk-এর ঐ ড্রাইভকে ফরম্যাট করলে logical bad sector দুর হবে৷ আর চলতে চলতে হঠাত্ বন্ধ বা পাওয়ার অফ হলে Read write head টি হঠাত্ ঘূর্ণায়মান সিলিন্ডারে উপর পড়ে ডিস্ক এ স্ক্যাচ ফেলতে পারে কিংবা অতিরিক্ত নাড়া চাড়া কিংবা পরিবহনের সময় ঝাঁকুনি হার্ডডিস্কের সিলিন্ডার আঘাতপ্রাপ্ত হতে পারে বা হার্ডডিক্স পড়ে গেলে সিলিন্ডার ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে৷ এভাবে সিলিন্ডারে ফিজিক্যালি বেড সেক্টর পড়তে পারে৷ হার্ডডিস্ক কে সাবধানে হ্যান্ডেলিং করার মাধ্যমে একমাত্র
এটিকে রোধ করা সম্ভব৷ অসাবধানতা বশত যদি বেড সেক্টর পড়েই যায় তাহলে তা কোন অংশে পড়েছে স্ক্যানডিস্কের মাধ্যমে অনুমান সেই অংশটুকু করে Partition magic সফটওয়্যারের মাধ্যমে সেই অংশটুকু unallocated রেখে বাকি অংশ পার্টিশন করুন৷ তবে ঐ অংশে Bad sector আর বাড়বে না ও বিরক্তও করবে না৷
No comments:
Post a Comment