আমাদের ভুবনে আপনাকে স্বাগতম-- ভর্তি চলছে! ভর্তি চলছে!! ভর্তি চলছে!!! আমাদের সেন্টারে ভর্তির জন্য admission form- এ ক্লিক করে ভর্তি ফরম ডাউন লোড করে নিন। ধন্যবাদ।

মাদারবোর্ড সম্পর্কে A to Z বাংলা টিউটোরিয়াল...

একটি কম্পিউটার সিস্টেমের সকল কম্পোনেন্ট প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে যে সর্ব বৃহৎ সার্কিট কার্ডতির সাথে সম্পৃক্ত করা হয় তাকে মাদারবোর্ড বলা হয় । কম্পিউটারে যে কোন যন্ত্রাংশই প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে মাদারবোর্ডের সাথে অ্যাড আছে ।
মাদারবোর্ড

মাদারবোর্ড মূলত কম্পিউটার সিস্টেমের সকল ডিভাইসের মধ্যে বাস স্পীড দ্বারা সংযোগ দেয়া হয় । আগে অনেক ডিভাইস ,মাদারবোর্ড এক্সটেনশন স্লটের সাথে লাগিয়ে পারস্পরিক সংযোগ দেয়া হয় । বর্তমানে এ সকল ডিভাইস মাদারবোর্ডের সাথে বিল্ড ইন অবস্থায় থাকে ।ফলে এ সকল ডিভাইস গুলো আলাদা ভাবে ইন্সটল দিতে হয় না ।একটি পেন্টিয়াম মাদারবোর্ডে উপরে বাস স্লটসমুহ থাকে ।এ সকল বাস স্লটে সিস্টেম এডাঁপটার সমূহ যেমন ভিডিও ,সাউন্ড, নেটওয়ার্কিং ইত্যাদি কার্ড সমূহ স্থাপন হয় এবং অপর প্রান্তে স্ক্রু দিয়ে আটকিয়ে দিতে হয় । মাদারবোর্ডের উপর ডান দিকে র‍্যাম স্লট থাকে ।এছাড়া মাদারবোর্ডে ১/০ কার্ড , ফ্লোপি ড্রাইভ কান্টোলার , দুটি IDE চেইন কানেক্টর
,সাটা পোর্ট । কিবোর্ড ও মাউস কানেক্টর , ইউএসবি পোর্ট থাকে । এ সকল কানেক্টরের সাথে রিবন ক্যাবল ইত্যাদি দিয়ে সংযোগ দেয়া হয় । বর্তমানে বাজারে বিভিন্ন সিরিজের মাদারবোর্ড পাওয়া যায় ।মাদারবোর্ড প্রস্তুতকারক কোম্পানিগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য আসুস,গিগাবাইট,ইন্টেল,ইসিএস ইত্যাদি। আসুস বর্তমানে পৃথিবীর সবথেকে বড় মাদারবোর্ড প্রস্তুতকারক কোম্পানি।
মাদারবোর্ডের বিভিন্ন কম্পোনেন্ট 

এখন আমি আপনাদের মাদারবোর্ডের বিভিন্ন কম্পোনেন্ট এর সাথে পরিচিত হতে সহযোগিতা করব । আসুন দেখি কোনটির কি নামঃ
এখানে দেখুন মাদারবোর্ডকে ৭টি ভাগে ভাগ করা হয়েছে । এই সাতটি ভাগকে আবার ২০টি ভাগে ভাগ করা হয়েছে ।
পাওয়ার সংযোগ স্লট


পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিট থেকে মাদারবোর্ডে পাওয়ার সাপ্লাই করা হয় । প্রত্যেক মাদারবোর্ডে পাওয়ার সাপ্লাই সংযোগ দেয়ার জন্য অবশ্যই একটি AT বা ATX পাওয়ার সংযোগ স্লট থাকে ।। AT বা ATXপাওয়ার কানেক্টর চিনার ঊপায় হচ্চে AT পাওয়ার সাপ্লাই কানেক্টরে ৬+৬ = ১২ টি পিনের হয়ে থাকে । এবং ATX পাওয়ার কানেক্টর চিনার উপায় হচ্ছে ১০+১০ = ২০ বা ২৪ পিনের হয়ে থাকে । অবশ্য বর্তমানে সকল মাদারবোর্ডেই ATX  পাওয়ার কানেক্টর ব্যবহার করা হয় । AT কানেক্টর মান্দাতা আমলে ব্যবহার করা হয় ।
প্রসেসর স্লট

এটি এক ধরনের সকেট যা প্রসেসরকে মাদারবোর্ডে সংযুক্ত করার কাজে ব্যবহার হয় । ইহা মাদারবোর্ডের অন্যান্য কম্পোনেন্টের সাথে প্রসেসরের সংযোগ ঘটানো সম্ভব হয় ।কাঠামো গত দিক দিয়ে প্রসেসরকে স্লটকে বিভিন্ন ভাগে ভাগ করা হয়েছে ! নিন্মে তা প্রকাশ হল !  
¤LGA 775¤
CPU Socket 775 T.jpg
Type:LGA
Chip form factors:Flip-chip land grid array
  Contacts:775
   protocol:AGTL+
 frequency:133 MHz (533 MT/s) 200 MHz (800 MT/s) 266 MHz (1066 MT/s) 333 MHz (1333 MT/s) 400 MHz (1600 MT/s)
Processor dimensions:1.47 × 1.47 inches (37.5mm)
 Processors:Intel Pentium 4 (2.60 – 3.80 GHz) Intel Celeron D (2.53 – 3.60 GHz ) Intel Pentium 4 Extreme Edition (3.20 – 3.73 GHz) Intel Pentium D (2.66 – 3.60 GHz) Pentium Extreme Edition (3.20 – 3.73 GHz) Pentium Dual-Core (1.40 – 3.33 GHz) Intel Core 2 Duo (1.60 – 3.33 GHz) Extreme Intel Core 2 (2.66 – 3.20 GHz) Intel Core 2 Quad (2.33 – 3.00 GHz) Intel Xeon (1.86-3.40 GHz) Intel Celeron (1.60 – 2.40 GHz)
বর্তমানে প্রচলিত মাদারবোর্ড সমূহে এই স্লট ব্যবহার করা হয় ।এটি সর্বাধিক প্রচলিত স্লট কারন এটির মাধ্যমে আপনি সর্বাধিক প্রসেসর ব্যবহারের সুযোগ পাবেন । । এটির Contacts ৭৭৫ .প্রটোকল AGLT+ . প্রসেসর dimensions:১.৪৭×১.৪৭ ( ৩৭.৫ মি.মি । আর কি বিস্তারিত বলব উপরে তোঁ সকল কিছুই দেয়া আছে ।
¤Socket P¤
Socket P-above.png
Type :  PGA
   Chip form factors:Flip-chip pin grid array
Contacts:478
frequency:400MT/s, 533 MT/s, 667 MT/s, 800MT/s,       1066MT/s
Processor:Intel Core 2 DuoT5xx0*, T6xx0, T7xx0*, T8x00, T9xx0) * some use socket M–see
এটি হচ্ছে PGA টাইপের প্রসেসর স্লট ।এটিতে ৪৭৮ contacts ব্যবহার করা হয়।এটির মাঝে আপনি বর্তমানের সকল উন্নত প্রসেসর ব্যবহার করতে পারবেন । এটিকে সকেট P বলে অভিহিত করা হয় । এই দুটি সকেটই কিন্তু ব্যবহার হয় এটি কিন্তু মনে করবেন না । অসংখ্য প্রসেসর স্লট ব্যবহার করা আসুন দেখে নেই আর কি কি প্রসেসর স্লট ব্যবহার করা হয় ।
র‍্যামস্লট

মাদারবোর্ড স্থাপন করার জন্য যে স্লট ব্যবহার করা হয় তাকে র‍্যাম স্লট বলা হয় । সাধারনত SIMM এবং DIMM এই দু ধরনের র‍্যাম বেশি ব্যবহার হয় । স্লট অনুসারেSIMM ,DIMMও RIMM    হিসেবে ভাগ করা হয় । কিন্তু প্রজুক্তিগত দিক দিয়ে এগুলো
EDO ,FPM, SDRM ও RDRAM ছাড়া আর কিছুই না । বহুল প্রচলিত DIMM হিসাবে যে র‍্যাম গুলো পাওয়া যায় সেগুলো SDRAM ।

¤3 SDRAM DIMM slots¤
এক্সপানশন স্লট

মাদারবোর্ডে সাধারনত কত গুলো এক্সপানশন স্লট থাকে । এ সকল স্লট কে ইন্টারফেস স্লট বলা হয় । ইন্টারফেস স্লটে সাধারনত সাউন্ড কার্ড , AGP কার্ড , ফ্যাক্স মডেম , টিভি কার্ড , নেটওয়ার্ক কার্ড ইত্যাদি বিভিন্ন প্রকারের কার্ড বসানো যায় ।বর্তমানে তিন ধরনের স্লট ব্যবহার হয় সেগুল হচ্ছেঃ ISA , PCI , AGP . নিন্মে ISAবাদে বাকী গুলোর বর্ণনা দেয়া হলঃ

PCI Express
Year:2004
created by:Intel · Dell · HP · IBM
Supersede:AGP · PCI · PCI-X
Width in bits:1–32
Number of devices:
One device each on each endpoint of each connection.
PCI Express switches can create multiple endpoints out of one endpoint to allow sharing one endpoint with multiple devices.
Capacity:
Per lane (each direction):v1.x: 250 MB/s (2.5 GT/s)
v2.x: 500 MB/s (5 GT/s)
v3.0: 1 GB/s (8 GT/s)
v4.0: 2 GB/s (16 GT/s)
16 lane slot (each direction):
v1.x: 4 GB/s (40 GT/s) v2.x: 8 GB/s (80 GT/s) v3.0: 16 GB/s (128 GT/s)
Style:Serial
Hotplugging interfacs:Yes, if ExpressCardPCI Express ExpressModule orXQD card
External interface:Yes, with PCI Express External Cabling, such as Thunderbolt
PCI Express এর সম্পূর্ণ অর্থ হচ্ছে Peripheral Component Interconnect Express. এটি ৩২বিট ডেটা ট্রান্সফার সাপোর্ট করে।এটি সর্ব প্রথম তৈরি হয় ২০০৪ সালে ।

PCI
}}
Three 5-volt 32-bit PCI expansion slots on amotherboard (PC bracket on left side)
Year created:July 1993
Created by:Intel
Supersedes:ISAEISAMCAVLB
Superseded by:PCI Express (2004)
Width in bits:32 or 64
Capacity:133 MB/s (32-bit at 33 MHz) 266 MB/s (32-bit at 66 MHz or 64-bit at 33 MHz) 533 MB/s (64-bit at 66 MHz)
Style:Parallel
Hotplugging interface:Optiona
এটি ৩২ থেকে ৬৪ বিট ডেটা ট্রান্সফার সাপোর্ট করে। এটি সাউন্ড কার্ড , নেটওয়ার্ক কার্ড , SISC কন্ট্রোলার , অডিও কার্ড, গ্রাফিক্স কার্ড সংযোজনের জন্য ব্যবহার হয় । এই স্লট টি চিনার উপায় হচ্ছে সিজ্ঞেল পিন হিসেবে এর পিন সংখ্যা (৪৯+১১)টি , ডাবল পিন হিসেবে এর পিন সংখ্যা (৯৮+২২) এই স্লটের রং দেখতে সাদা ।
 AGP
AGPLogo.svg}}
An AGP slot (Purple color) and two 5v PCI slots (PC bracket to left)
Year created:1996
  Created by:Intel
   Superseded by:PCI Express (2004)
Width in bits:32
Number of devices:1 device/slot
Capacity:up to 2133 MB/s
 Style:Parallel
AGP এর সম্পূর্ণ অর্থ হচ্ছে Accelerated Graphics Port এটি ৬৪ বিটের স্লট AGP কার্ড সিস্টেম র‍্যাম কে গ্রাফিক্স হিসেবে ব্যবহার করে ।এটি গ্রাফিক্স হার্ডওয়্যার ও সিস্টেম মেমরির মধ্যে হাইস্পিড পাথ তৈরি করে । এছাড়া এটিতে আলাদা ভাবে ভি- র‍্যাম বসানো যায়। AGP স্লটকে অনেকে পোর্ট হিসেবে অভিহিত করে থাকে, কিন্তু বস্তুত এটি একটি Expantion শ্লট জা কম্পিউটারকে চমৎকার গ্রাফিক্স আউটপুট প্রদান করে ।
বিভিন্ন প্রকার কন্টোলার

মাদারবোর্ড সাথে বিভিন্ন রকম ডিভাইস সংযোগ দেয়ার জন্য কয়েকটি কন্টোলার থাকে । নিন্মে এগুলোর বর্ণনা দেয়া হল ।
¤ফ্লোপি ড্রাইভ কন্টোলার¤
ফ্লোপি ড্রাইভের কানেক্টর ৩৪ পিন বিশিষ্ট হয়ে থাকে । এই কানেক্টর টি মূলত ফ্লোপি ডিস্কের জন্য ব্যবহার হয় । ফ্লোপি ছাড়া অন্য কোন ডিভাইসে এই কন্টোলারটি যুক্ত করা যায় না ।
¤ IDE ¤
IDE এর পূর্ণ অর্থ হচ্ছে Intergrated Drive Electronics. IDE  কন্ট্রোলার ৪০ পিন বিশিষ্ট হয়ে থাকে । মাদারবোর্ডের সাথে হার্ডডিস্ক , সিডিরম ড্রাইভ ডিভিডি ড্রাইভ ইত্যাদি ডিভাইস গুলো সংযোগ দেয়ার জন্য IDE কন্ট্রোলার ব্যবহার হয় । সব মাদার বোর্ডেই দুটি IDE কন্ট্রোলার থাকে একটি প্রাইমারি IDE কন্ট্রোলার , অন্যটি সেকেন্ডারি IDE কন্ট্রোলার ।
¤সাটা কন্টোলার¤
   
আপনার সকলেই নিশ্চয় সাটা পোর্টের সাথে পরিচিত । সাটা পোর্ট হচ্ছে দ্রুত ডেটা সঞ্চলন পোর্ট । এটি সাধারনত আগের কানেক্টর সমূহ থেকে আট গুন দ্রুত ডেটা সঞ্চলন করতে পারে বিধায় এটি এত জনপ্রিয় ।
বিভিন্ন প্রকার পোর্ট

বর্তমান মাদারবোর্ড গুলোয় চার ধরনের পোর্ট সবথেকে বেশি ব্যবহার হয়। এগুলো হচ্ছে –
▄▀ সিরিয়াল পোর্ট
▄▀ প্যারালাল পোর্ট
▄▀পিএস২/ পোর্ট
▄▀ইউ এস বি পোর্ট
¤সিরিয়াল পোর্ট ¤
এটির সাথে আপনারা সকলেই পরিচিত আশা করি । এটি সম্পর্কে আপনাদের আর কি বিস্তারিত জানাব? মাদারবোর্ডে সাধারণত সিরিয়াল পোর্ট দু ধরনের দেখা যায় । এই দুটি পোর্ট হচ্ছে com 1 এবং com2 .সাধারণত সিরিয়াল পোর্টে পিনের সংখ্যা হয় ০৯ থেকে ১০ টি হয়ে থাকে । সিরিয়াল পোর্টের মাধ্যমে মডেম কানেক্ট করা হয় ।
¤প্যারালাল পোর্ট¤
প্যারালাল পোর্টকে LPT  বা লাইন প্রিন্টার পোর্ট বলা হয় । সাধারণত প্রিন্টার সংযোগ দেয়া হয় বলে একে LPT বলা হয় । প্যারালাল সাধারণত বিশেষ ধরনের পেরিফেরালস ডিভাইসঃ প্রিন্টার ও স্ক্যানার সংযোগের জন্য ব্যবহার হয় । প্যারালাল পোর্টে সাধারনত ২৬ টি পিন থাকে ।
¤পিএস২/ পোর্ট¤
PS2 পোর্ট এটির সাথে আপনারা সকলেই খুব ভালো ভাবে পরিচিত। এটি সাধারণত গোলাকার আকৃতির হয়ে থাকে । এই পোর্টে সাধারণত মাউস এবং কি-বোর্ড সংযোগের জন্য ব্যবহার হয় ।
¤ইউ এস বি পোর্ট¤
USB ( Universal Serial Bus) এটির সাথে কে কে পরিচিত নেই হাত তুলুন দেখি । আমি জানি কেউ হাত তুলবেন না । আসুন জানি এটির সুবিধা সমূহ এটি কমিউনেকেশন অনেক দ্রুত করে। এটি সাথে আপনি যে কোন ডিভাইস যেমন স্ক্যানার , মাউস , কি- বোর্ড , জয়ষ্টিক প্রভৃতি সংযোগ প্রদান করতে পারবেন । আগে এই ডিভাইস সমূহের সংযোগ দেয়ার জন্য ড্রাইভার ইনষ্টলেশন করার প্রয়োজন হত । কিন্তু USB জন্য ইনষ্টলেশন প্রয়োজন হয় না । এছাড়া আপনি এটির মাধ্যমে পাচ্ছেন হাজারো সুবিধা ।
বায়োস

বায়োস (BIOS)-এর পূর্ণরূপ হলো ‘বেসিক ইনপুট-আউটপুট সিস্টেম’।
আর কারিগরি ভাষায় বলা যায়- বায়োস হচ্ছে একটি চিপ। এটি মাদারবোর্ডের ভেতরেই সংযোজিত থাকে, যা পিসি অন করার পর পরিপূর্ণভাবে পিসি চালু হওয়ার আগে পিসির সামগ্রিক যন্ত্রাদি (ইনপুট-আউটপুট ডিভাইস ও অ্যাপ্লিকেশনসহ সব সফটওয়্যার) ঠিক আছে কিনা তা পর্যবেক্ষণ করে। সিপিইউর অভ্যন্তরে কাজটি এতো দ্রুত হয় যে সাধারণ কমপিউটার ব্যবহারকারী তা বুঝতেও পারেন না। অবশ্য কমপিউটার ব্যবহারকারীর তা বোঝার দরকারও পড়ে না। বায়োসের কাজের পরিধি কিছুটা নির্ভর করে কমপিউটার ব্যবহারকারী কোন ধরনের- সাধারণ, পেশাজীবী, বিশেষজ্ঞ নাকি গবেষক তার ওপর। এই পরিধি ব্যবহারকারীর ধরন অনুযায়ী চাহিদা বিবেচনা করে ডস থেকে বায়োসের সেটিং নির্ধারণ করা হয়ে থাকে। পিসি চালু হওয়ার আগে বায়োসের পোস্ট বা পাওয়ার অব সেল্ফ টেস্টের কাজের মধ্যে রয়েছে- পিসিতে ভাইরাস বা হার্ডওয়্যার যন্ত্রাদির কোনো সমস্যা আছে কিনা, বৈদ্যুতিক ব্যবস্থাপনা, ওভারক্লকিং সিস্টেম ইত্যাদি। এরপর বায়োস কমপিউটারের অপারেটিং সিস্টেমের ওপর দায়দায়িত্ব ছেড়ে দেয়। কিন্তু ওএস ডাটা বিনিময় সংক্রান্ত ব্যবস্থাপনায় ব্যাকএন্ডে সহায়তা করে বায়োস। এজন্য হার্ডওয়্যার যন্ত্রাদির দিকেও নজর রাখতে হয় বায়োসকে। এক কথায় বলা যায়, বায়োস হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যারের মাঝে ইন্টারপ্রেটার হিসেবে কাজ করে থাকে। তবে কাজটি সরাসরি হয় না, যোগাযোগ রক্ষাকারী হিসেবে সার্বিক কাজটি তিনটি স্তরে হয়ে থাকে। প্রথম স্তরে পিসি ওপেন হওয়ার আগে বায়োস প্রাথমিক পর্যবেক্ষণের পর ওএস-এর ওপর দায়িত্ব ছেড়ে দেয়। দ্বিতীয় স্তরে ওএস যেকোনো ধরনের ত্রুটিবিচ্যুতির জন্য বায়োসকে সংকেত পাঠায় এবং তৃতীয় পর্যায়ে বায়োস সে অনুযায়ী পদক্ষেপ নেয়। কাজগুলো দ্রুততার সাথে সম্পন্ন হয়।
চিপস সেট

মাদার বোর্ডে চিপস সেটের মাধ্যমে ডেটা নিয়ন্ত্রন করা হয় । মাদার বোর্ডে সংযুক্ত বিভিন্ন ধরনের ডিভাইস গুলোর সমন্বয় করার জন্য সিলিকন চিপ ও আই সি থাকে । এই চিপ গুলোই প্রকৃত পক্ষে একটি মাদারবোর্ডের সামগ্রিক সক্ষমতা ও কার্যকারিতার নিয়ন্ত্রক হয় ।মাদারবোর্ডের বাসস্পিড , বিট রেট এবং আউট পুট -ইনপুট ডিভাইস গুলোর ডেটা আদান প্রদানের গতি এই চিপ সেটে নির্ভর করে । আর এই চিপ নির্মাণ কারী প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ইন্টেল অন্যতম ।
বাস

কম্পিউটার বাস 
(Computer Bus) কম্পিউটারের মাদারবোর্ডে বিদ্যমান মাইক্রোপ্রসেসরএবং অন্যান্য চিপ বা কমপোনেন্ট গুলি বিদ্যুৎ পরিবাহী লাইনের মাধ্যমে সংযুক্ত – সংযোগ স্থাপনকারী এই লাইনগুলোকে বাস বলে । অর্থাৎ পিসির এক অংশ অপরাপর অংশের সাথে যে পদ্ধতিতে যোগাযোগ স্থাপনে সক্ষম হয় তার নাম বাস বা সিষ্টেম বাস। এক কথায়, পিসির বাহ্যিক বা আভ্যন্তরীণ অংশের পরস্পরের সাথে যে যোগাযোগ সূত্র দ্বারা সংযুক্ত সেটাই হচেছ বাস।প্রসেসর, চিপসেট, ভিডিও এডাপ্টর, প্রাইমারী মেমোরী, ক্যাশ মেমোরী,হার্ড ডিস্ক,ফ্লপি ড্রাইভ, ল্যান কার্ড, সাউন্ড কার্ড, প্রভৃতি সব অনুসঙ্গ ও ডিভাইস সিষ্টেম বাস দ্বারা সংযুক্ত। এ সব বাসকে পরিচালনার জন্য রয়েছে বাস কন্ট্রোলার যা যোগাযোগকে সুষ্ঠুভাবে সম্পাদন করতে সহায়তা করে। এই বাস কন্ট্রেলার বর্তমানে চিপসেট নামে পরিচিত। বিদ্যুৎ পরিবাহী লাইন হিসাবে উন্নত মানের কপার তার ব্যবহার করা হয়। প্রতিটি ট্রাকে ১ বিট করে তথ্য ধারন করে। কয়েকটি ট্রাকের সমন্বয়ে বাস গঠিত হয়। বিভিন্ন প্রকার কাজের জন্য ব্যবহৃত বাসগুলো বিভিন্ন নামে পরিচিত। বাস গুলো তিন ধরনের –
  • ডাটা বাস
  • এড্রেস বাস
  • কন্ট্রোল বাস
ডাটা বাস 
এর কাজ হচ্ছে বিভিন্ন চিপের মধ্যে তথ্য আদান প্রদান করা। এই বাসের মাধ্যমে ডাটা উভয় দিকেই যাতায়াত করতে পারে তাই ইহাকে Bidirectional বাস বলে। একটি বাসের মধ্যে যে কয়টি তার এই আদান প্রদান করতে পারে তাকে তত বিটের বাস বলা হয়। ডাটা বাস ৮ বিট , ১৬বিট, ৩২ বিট ও ৬৪ বিটের হতে পারে। বলা বাহুল্য বেশী বিটের ডাটা বাস দ্রূত ও বেশী পরিমান ডাটা ট্রান্সফার করতে পারবে।

এড্রেস বাস

হচ্ছে একগুচছ পথ যার মাধ্যমে কোন তথ্য পাঠিয়ে কম্পিউটারে রক্ষিত কোন ডাটা খোজা অথবা নতুন কোন ডাটা রাখার নির্দেশ পাঠানো যায়। এড্রেস বাসের কাজ হচ্ছে ডাটা কোথা থেকে কোথায় গেল তা তার লোকেশন বা স্থান সনাক্ত করা। সিপিইউকে তথ্য Read/Write করতে হলে ইহাকে অবশ্যই আই/ও পোর্ট অথবা সিস্টেম মেমোরীর লোকেশন জানতে হবে, এড্রেস বাসের দ্বারা এই লোকেশন বা স্থান নির্ধারন করা যায় । একটি এড্রেস বাস কত সংখ্যক বিট ধারন করে তার উপরে নির্ভর করে যে কত সংখ্যক লোকেশন বা এড্রেসে প্রবেশ করতে পারবে। যেমন, ২০ এড্রেস লাইন বিশিষ্ট বাস ১ মিলিয়ন (সঠিক ১,০৪৮,৫৭৬) লোকেশন এবং ২৪ এড্রেস লাইন বিশিষ্ট বাস ১৬ মিলিয়ন (সঠিক ১৬,৭৭২,২১৬ ) লোকেশন বা স্থান এড্রেস করতে পারে। এড্রেস বাস হচ্ছে একমুখী – এ বাসটি সিপিইউ থেকে ডাটা সংগ্রহ পুর্বক অন্যান্য অংশে প্রেরন করে। প্রসেসরে এড্রেস বাসের সংখ্যা অনেক বেশী হতে পারে । উভয় বাসই প্রসেসরে স্বাধীনভাবে থাকে । চিপ ডিজাইনররা তাদের ইচেছমত ও সুবিধানুয়ায়ী সাইজ নির্ধারন করে থাকে। তবে প্রসেসরে ডাটা বাসের সংখ্যা বেশী হলে এড্রেস বাসের সংখ্যাও বেশী হবে। কারন ডাটা বাস প্রসেসর কি পরিমান তথ্য প্রসেস করছে তা জানিয়ে দেয় এবং এড্রেস বাস প্রসেসর কি পরিমান মেমোরী নিয়ে কাজ করতে পারে তা জানিয়ে দেয়।

কন্ট্রোল বাস

সিপিইউ থেকে সংকেত বা নির্দেশ বহন পুর্বক সংশিষ্ট অংশ গুলোতে প্রেরন করে। ইহাও দ্বিমুখী বা Bidirectional বাস । এই বাস দ্বারা আদান প্রদান অপারেশনকে সামঞ্জস্য ও শৃংক্ষলাবদ্ধ করা হয়। ইহা নিম্নলিখিত কার্য্যগুলি সম্পন্ন করে
  • মেমোরী অথবা আই/ও লোকেশন থেকে তথ্য Read/Write করে।
  • ইন্টারাপ্ট চ্যানেল কন্ট্রোল করে।
  • সিপিইউ টেস্ট এবং রিটেষ্ট করে।
  • ডিএমএ কন্ট্রোল করে।
  • সিপিইউ ষ্ট্যাটাস ও প্যারিটি চেকিং করে।
  • ক্যাশ অপারেশন কনোট্রাল করে।


আজ এই পর্যন্তই । আজ এর নয় আবার দেখা হবে আগামীতে । একটি কথা অবশ্যই মনে রাখবেন যে নিজে শিখুন এবং অন্যকে শিখতে সহয়তা করুন । আপনি চিন্তা করে দেখুন এমন অনেক কিছু আছে যা আপনি জানেন কিন্তু অনেকেই জানে না । তাই আমাদের শিখতে এবং শিখাতে সহয়তা করুন। 

[বিঃদ্রঃ এখানে যে লিংক গুলো প্রয়োগ করা হয়েছে সেগুলো নেয়া হয়ে হয়েছে আপনাদের বিশ্বাস যোগ্য সূত্রWikipediaথেকে ।]

1 comment:

Blogger Widgets