প্রযুক্তির এই যুগে কম্পিউটার একটি গুরুত্বপূর্ন বিষয়। আজকে আমি কম্পিউটারের হার্ডওয়্যারের
যাবতীয় যন্ত্রাংশের সাথে আপনাদের পরিচয় করিয়ে দিব।
১। কেচিংঃ মানুষের যেমন শরীর, কম্পিউটারের বেলায় সেটি হল কেচিং। এর ভিতরে কম্পিউটারের যাবতীয় হার্ডওয়্যার থাকে। যেমন : মাদারবোর্ড, র্যাম, প্রসেসর, হার্ড ডিস্ক, অপটিকেল ড্রাইভ পাওয়ার সাপ্লাই ইত্যাদি। সাধারনত কেচিং এর সাথে পাওয়ার সাপ্লাই থাকে। কম্পিউটারের পাওয়ার বাটন ও রিসেট বাটন কেচিং এর সামনে থাকে। এছাড়াও কেচিং এ সামনের অংশে একটি ফ্রন্ট প্যানেল থাকে। এবং ফ্রন্ট প্যানেলের মধ্যে থাকে অডিও আউটপুট, মাইক্রোফোন, ইউএসবি।
২। পাওয়ার সাপ্লাইঃ পাওয়ার সাপ্লাই কম্পিউটারের প্রত্যেকটি ডিভাসইকে ভোল্টেজ সরবরাহ করে থাকে। এটি সাধারনত কেচিংয়ের পিচনে উপরের দিকে হয়ে থাকে। পাওয়ার সাপ্লাই ইনপুট হিসেবে ১১০-২২০ ভোল্ট বিদ্যুত গ্রহন করে এবং আউটপুট হিসেবে যথাক্রমে ৩.৩, ৫ এবং ১২ ভোল্ট বিদ্যুত সরবরাহ করে থাকে। কম্পিউটার হার্ডওয়্যার ডিভাইসের উপর নির্ভর ওয়াটের পাওয়ার সাপ্লাইর ব্যাবহার হয়ে থাকে। পাওয়ার সাপ্লাই ৩০০ ওয়াট থেকে শুরু করে ১০০০ ওয়ার্ট পর্যন্ত হয়ে থাকে। পাওয়ার সাপ্লাইয়ের ওয়াট যত বেশি হবে, কম্পিউটার থেকে তত বেশি কার্যকরিতা পাওয়া যাবে। সাধারনত গেমিং, ভিডিও এডিটিং এর কাজের জন্যা বেশি ক্ষমতা সম্পূর্ন (ওয়াটের) পাওয়ার সাপ্লাইয়ের প্রয়োজন পড়ে।
৩। মাদারবোর্ডঃ মাদারবোর্ড হল কম্পিউটারে একটি গুরুত্বপূর্ন হার্ডওয়্যার। কম্পিউটারের যাবতীয় হার্ডওয়্যার কানেকশান মাদারবোর্ডের মাধ্যমে হয়ে থাকে। মাদারবোর্ডে যথাক্রমে ৩.৩,৫, ১২ ভোল্ট বিদ্যুত সরবরাহ করা হয়ে থাকে। বর্তমান মাদারবোর্ড এর সাথে বিল্ডইন সাউন্ড, গ্রাফিক্স ইত্যাদি থাকে। মাদারবোর্ড এর ইনপুট আউটপুটের জন্য যে সকল পোর্ট রয়েছে, যেমনঃভিজিএ, ইউএসবি, মাইক্রোফোন, অডিও ইনপুট, অডিও আউটপুট, ইথারনেট পোর্ট ইত্যাদি। বর্তমান বাজারে বিভিন্ন প্রসেসরে উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন সকেটের মাদারবোর্ড রয়েছে। যেমন : LGA-775, LGA-1155, LGA-1156, AM2, AM2+, AM3 ইত্যাদি।
৪। র্যামঃ র্যাম এর পূর্ন রুপ হল Random Access Memory । র্যামকে অস্থায়ী স্মৃতি ও বলা হয়। মনে করুন প্রসেসর হল আপনার মাথা এবং র্যাম বা মেমোরী হল আপনার রাফ খাতা। আমারা যেমন অংক করতে পানি কিন্তু সেটার জন্য আলাদা একটি জায়াগার রাফের প্রয়োজন পড়ে, র্যামের বেলায় ঠিক তেমনিই। র্যাম খুব দ্রুত ডাটা রিড ও রাইট করতে পারে। বর্তমান বাজারে র্যামের প্রকারভেদ ও তাদের তুলনামূলক বৈশিষ্ট তুলে ধরা হলঃ
৫। প্রসেসরঃ কম্পিটারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন হার্ডওয়্যার হল প্রসেসর। মানুষের মাথার সাথে প্রসেসরের তুলনা করা যায়। একে CPU ও বলা হয়, যার পুর্ন রুপ হল Central Processing Unit অর্থাৎ কেন্দ্রীয় প্রক্রিয়াকরন কেন্দ্র। প্রসেসর তিন ধাপে কার্য সম্পাদন করে। প্রথমে ইনপুট ডিভাইস থেকে নির্দেশ গ্রহন করে, নির্দেশ মোতাবেক ডাটা প্রসেসিং করে এবং সর্বশেষ আউটপুট হিসেবে ফলাফল প্রদান করে। প্রসেসর প্রচুর পরিমানে গরম হয় তাই প্রসেসরের উপর হিটসিল্ক সহকারে কুলিং ফ্যানের ব্যাবস্থা করা হয়।
হার্ড ডিস্কঃ কম্পিউটারের মাদারবোর্ড, র্যাম এবং প্রসেসরের পরেই হল হার্ড ডিস্ক। হার্ড ডিস্ক স্থায়ীভাবে ডাটা সংরক্ষনের কাজে ব্যাবহৃত হয়। হার্ড ডিস্ক পাওয়ার সাপ্লাই থেকে যথাক্রমে ১২ ভোল্ট ও ৫ ভোল্ট বিদ্যুত ইনপুট হিসেবে গ্রহন করে। সাটা হার্ড ডিস্কের ক্ষেত্রে ১২ ও ৫ ভোল্টের সাথে ৩.৩ ভোল্ট বিদ্যুত ও ইনপুট হিসেবে গ্রহন করে। তবে এই ৩.৩ ভোল্ট বিদ্যুত ছাড়াও হার্ড ডিস্ক কাজ করতে পারে। হার্ড ডিস্কের পারফরমেন্স তার ক্যাশ ও আরপিএম এর উপর নির্ভর করে। হার্ড ডিস্কের RPM যত বেশি হবে, হার্ড ডিস্ক তত দ্রুত ডাটা রিড/রাইট করতে পারবে। বর্তমান বাজারে ৫,৪০০ ও ৭২০০ RPM এর হার্ড ডিস্ক দেখা যায়। নিন্মে হার্ড ডিস্কের বর্তমান ও অতীতের তুলনামূলক পার্থক্য তুলে ধরা হলঃ
আজকের জন্য এখানেই বিদায় নিলাম। এখানে ধারাবাহিক ভাবে পোষ্ট চলতে থাকেবে। যে কোন প্রকার সমস্যা হলে আমাদের কে কমেন্ট করে জানান।
১। কেচিংঃ মানুষের যেমন শরীর, কম্পিউটারের বেলায় সেটি হল কেচিং। এর ভিতরে কম্পিউটারের যাবতীয় হার্ডওয়্যার থাকে। যেমন : মাদারবোর্ড, র্যাম, প্রসেসর, হার্ড ডিস্ক, অপটিকেল ড্রাইভ পাওয়ার সাপ্লাই ইত্যাদি। সাধারনত কেচিং এর সাথে পাওয়ার সাপ্লাই থাকে। কম্পিউটারের পাওয়ার বাটন ও রিসেট বাটন কেচিং এর সামনে থাকে। এছাড়াও কেচিং এ সামনের অংশে একটি ফ্রন্ট প্যানেল থাকে। এবং ফ্রন্ট প্যানেলের মধ্যে থাকে অডিও আউটপুট, মাইক্রোফোন, ইউএসবি।
২। পাওয়ার সাপ্লাইঃ পাওয়ার সাপ্লাই কম্পিউটারের প্রত্যেকটি ডিভাসইকে ভোল্টেজ সরবরাহ করে থাকে। এটি সাধারনত কেচিংয়ের পিচনে উপরের দিকে হয়ে থাকে। পাওয়ার সাপ্লাই ইনপুট হিসেবে ১১০-২২০ ভোল্ট বিদ্যুত গ্রহন করে এবং আউটপুট হিসেবে যথাক্রমে ৩.৩, ৫ এবং ১২ ভোল্ট বিদ্যুত সরবরাহ করে থাকে। কম্পিউটার হার্ডওয়্যার ডিভাইসের উপর নির্ভর ওয়াটের পাওয়ার সাপ্লাইর ব্যাবহার হয়ে থাকে। পাওয়ার সাপ্লাই ৩০০ ওয়াট থেকে শুরু করে ১০০০ ওয়ার্ট পর্যন্ত হয়ে থাকে। পাওয়ার সাপ্লাইয়ের ওয়াট যত বেশি হবে, কম্পিউটার থেকে তত বেশি কার্যকরিতা পাওয়া যাবে। সাধারনত গেমিং, ভিডিও এডিটিং এর কাজের জন্যা বেশি ক্ষমতা সম্পূর্ন (ওয়াটের) পাওয়ার সাপ্লাইয়ের প্রয়োজন পড়ে।
পাওয়াার সাপ্লাই |
৩। মাদারবোর্ডঃ মাদারবোর্ড হল কম্পিউটারে একটি গুরুত্বপূর্ন হার্ডওয়্যার। কম্পিউটারের যাবতীয় হার্ডওয়্যার কানেকশান মাদারবোর্ডের মাধ্যমে হয়ে থাকে। মাদারবোর্ডে যথাক্রমে ৩.৩,৫, ১২ ভোল্ট বিদ্যুত সরবরাহ করা হয়ে থাকে। বর্তমান মাদারবোর্ড এর সাথে বিল্ডইন সাউন্ড, গ্রাফিক্স ইত্যাদি থাকে। মাদারবোর্ড এর ইনপুট আউটপুটের জন্য যে সকল পোর্ট রয়েছে, যেমনঃভিজিএ, ইউএসবি, মাইক্রোফোন, অডিও ইনপুট, অডিও আউটপুট, ইথারনেট পোর্ট ইত্যাদি। বর্তমান বাজারে বিভিন্ন প্রসেসরে উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন সকেটের মাদারবোর্ড রয়েছে। যেমন : LGA-775, LGA-1155, LGA-1156, AM2, AM2+, AM3 ইত্যাদি।
মাদারবোর্ড |
৪। র্যামঃ র্যাম এর পূর্ন রুপ হল Random Access Memory । র্যামকে অস্থায়ী স্মৃতি ও বলা হয়। মনে করুন প্রসেসর হল আপনার মাথা এবং র্যাম বা মেমোরী হল আপনার রাফ খাতা। আমারা যেমন অংক করতে পানি কিন্তু সেটার জন্য আলাদা একটি জায়াগার রাফের প্রয়োজন পড়ে, র্যামের বেলায় ঠিক তেমনিই। র্যাম খুব দ্রুত ডাটা রিড ও রাইট করতে পারে। বর্তমান বাজারে র্যামের প্রকারভেদ ও তাদের তুলনামূলক বৈশিষ্ট তুলে ধরা হলঃ
RAM
Type
|
Width
|
Pins
|
Data
Transfer Rate
|
Clock
Speed
|
Voltage
Supply
|
SD
RAM
|
64 bit
|
168
|
3.3 V
|
||
DDR1
RAM
|
64 bit
|
184
|
1,600 to 3,200 MB/s
|
100 to 200 MHz
|
2.5 V
|
DDR2
RAM
|
64 bit
|
240
|
3,200 to 8,533 MB/s
|
400 to 1,066 MHz
|
1.8V
|
DDR3
RAM
|
64 bit
|
240
|
6,400 to 17,067 MB/s
|
800 to 2,133 MHz
|
1.5V
|
RAM SLOT |
DDR3 RAM |
৫। প্রসেসরঃ কম্পিটারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন হার্ডওয়্যার হল প্রসেসর। মানুষের মাথার সাথে প্রসেসরের তুলনা করা যায়। একে CPU ও বলা হয়, যার পুর্ন রুপ হল Central Processing Unit অর্থাৎ কেন্দ্রীয় প্রক্রিয়াকরন কেন্দ্র। প্রসেসর তিন ধাপে কার্য সম্পাদন করে। প্রথমে ইনপুট ডিভাইস থেকে নির্দেশ গ্রহন করে, নির্দেশ মোতাবেক ডাটা প্রসেসিং করে এবং সর্বশেষ আউটপুট হিসেবে ফলাফল প্রদান করে। প্রসেসর প্রচুর পরিমানে গরম হয় তাই প্রসেসরের উপর হিটসিল্ক সহকারে কুলিং ফ্যানের ব্যাবস্থা করা হয়।
Processor |
হার্ড ডিস্কঃ কম্পিউটারের মাদারবোর্ড, র্যাম এবং প্রসেসরের পরেই হল হার্ড ডিস্ক। হার্ড ডিস্ক স্থায়ীভাবে ডাটা সংরক্ষনের কাজে ব্যাবহৃত হয়। হার্ড ডিস্ক পাওয়ার সাপ্লাই থেকে যথাক্রমে ১২ ভোল্ট ও ৫ ভোল্ট বিদ্যুত ইনপুট হিসেবে গ্রহন করে। সাটা হার্ড ডিস্কের ক্ষেত্রে ১২ ও ৫ ভোল্টের সাথে ৩.৩ ভোল্ট বিদ্যুত ও ইনপুট হিসেবে গ্রহন করে। তবে এই ৩.৩ ভোল্ট বিদ্যুত ছাড়াও হার্ড ডিস্ক কাজ করতে পারে। হার্ড ডিস্কের পারফরমেন্স তার ক্যাশ ও আরপিএম এর উপর নির্ভর করে। হার্ড ডিস্কের RPM যত বেশি হবে, হার্ড ডিস্ক তত দ্রুত ডাটা রিড/রাইট করতে পারবে। বর্তমান বাজারে ৫,৪০০ ও ৭২০০ RPM এর হার্ড ডিস্ক দেখা যায়। নিন্মে হার্ড ডিস্কের বর্তমান ও অতীতের তুলনামূলক পার্থক্য তুলে ধরা হলঃ
Form
factor
|
Status
|
Length
[mm]
|
Width
[mm]
|
Height
[mm]
|
Largest
capacity
|
3.5"
|
Current
|
146
|
101.6
|
19 or 25.4
|
8 TB (2014)
|
2.5"
|
Current
|
100
|
69.85
|
5, 7, 9.5,12.5, 15, or 19
|
2 TB (2012)
|
1.8"
|
Current
|
78.5
|
54
|
5 or 8
|
320 GB (2009)
|
8"
|
Obsolete
|
362
|
241.3
|
117.5
|
|
5.25"
|
Obsolete
|
203
|
146
|
82.6
|
47 GB (1998)
|
5.25"
|
Obsolete
|
203
|
146
|
41.4
|
19.3 GB (1998)
|
1.3"
|
Obsolete
|
43
|
40 GB (2007)
|
||
1" (CFII/ZIF/IDE-Flex)
|
Obsolete
|
42
|
20 GB (2006)
|
||
0.85"
|
Obsolete
|
32
|
24
|
5
|
8 GB (2004)
|
হার্ড ডিস্ক |
আজকের জন্য এখানেই বিদায় নিলাম। এখানে ধারাবাহিক ভাবে পোষ্ট চলতে থাকেবে। যে কোন প্রকার সমস্যা হলে আমাদের কে কমেন্ট করে জানান।
.........ধন্যবাদ.........
No comments:
Post a Comment