যে কোন ইলেকট্রিক ডিভাইস চলতে বিদ্যুতের প্রয়োজন হয়। তেমনি কম্পিউটার
ডিভাইসগুলো চলতে ও বিদ্যুতের প্রয়োজন হয়। আর এই বিদ্যুৎ সরবরাহ করে থাকে
পাওয়ার সাপ্লাই। তাহলে নিশ্চই বুঝতে পারছেন পাওয়ার সাপ্লাইয়ের গুরুত্ব
কতটা। এই টিউনে আমি পাওয়ার সাপ্লাই সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।
প্রথমে আমি দুটি কথা বলে নেই, আজকাল অনেকেই প্রশ্ন করে কম্পিউটার ধীর
গতিতে কাজ করে, কি করতে পারি? এর উত্তরে ৭০% লোকই বলে র্যামের সাইজ বাড়ান।
কিন্তু কেউই পাওয়ার সাপ্লাইয়ের কথা বলে না। অথচ পাওয়ার সাপ্লাই
কম্পিউটারের বিভিন্ন হার্ডওয়্যারের মধ্যে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে উক্ত
হার্ডওয়্যারকে সচল রাখে। পাওয়ার সাপ্লাই যদি কম্পিউটার ডিভাইসকে সঠিকভাবে
বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে না পারে, তাহলে অনায়াসে আপনার পিসি হ্যাং, রির্স্টাট,
পাওয়ার প্রবলেম, স্লো ইত্যাদি সমস্যা করবে। এছাড়াও পিসির বিভিন্ন
হার্ডওয়্যারের
১২টা বাজিয়ে ফেলবে। এতক্ষনের আলোচনায় নিশ্চই বুঝতে পারছেন
পিসির জন্য পাওয়ার সাপ্লাইয়ের গুরুত্ব কতটা।পাওয়ার সাপ্লাইয়ের সাধারন সমস্যাঃ সাধরনত পাওয়ার সাপ্লায়ের যে সকল সমস্যাগুলো হয়ে থাকে তা এখানে উল্লেখ করছি।
1| Sag/Under Voltageঃ স্বল্প সময়ের জন্য ভোল্টেজ ডাউন হয়ে যায়।
2| Spikesঃস্বল্প সময়ের জন্য ভোল্টেজ হাই হয়ে যায় ।
3| Brownoutঃ সবসময়ের জন্য ভোল্টেজ নির্দিষ্ট মাত্রার চাইতে কম ভোল্টেজ সরবরাহ করে।
4| Sweel/Over-voltageঃ সবসময়ের জন্য ভোল্টেজ নির্দিষ্ট মাত্রার চাইতে বেশি ভোল্টেজ সরবরাহ করে।
এছাড়াও পাওয়ার সাপ্লাইয়ের আরো অনেক টেকনিকেল প্রবলেম আছে।
পাওয়ার সাপ্লাইয়ের সমস্যার কারনে যে সমস্যা গুলো হয়ঃ
আমাদের কম্পিউটার ডিভাইসের ৮০% সমস্যার জন্য প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ ভাবে
দায়ী পাওয়ার সাপ্লাই। যে কোন ইলেকট্রিক ডিভাইসকে ধংশের জন্য একটি নরমাল বা
ত্রুটিপুর্ন পাওয়ার সাপ্লাই-ই যথেষ্ট। এখন দেখাবো পাওয়ার সাপ্লাই জনিত
সমস্যার কারনে কম্পিউটার ডিভাইসে কি কি সমস্যা হতে পারে।
১। সিস্টেম হ্যাংঃ পিসি হ্যাং করা একটি কমন প্রবলেম। আমাদের অতি মুল্যবান কম্পিউটারটি যে কোন সময় যে কোন পরিস্থিতিতে হ্যাং করতে পারে। এর জন্য ৭০% দায়ী কম্পিউটার পাওয়ার সাপ্লাই। পাওয়ার সাপ্লাইয়ের ভোল্টেজ আপ-ডাউন করা, ভোল্টেজ ড্রপ করা, ভোল্টেজ নয়েজ অন্যতম কারন।
২| Burntঃ ভোল্টেজ জনিত কারনে সাধারনত যে কোন ইলেকট্রিক ডিভাইস পুড়ে যায় এবং যে কোন পার্স শর্ট হয়ে যায়। এতে করে যে কোন হার্ডওয়্যার সম্পূর্নরূপে ব্যাবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়ে।
৩। সিস্টেম অতিরিক্ত গরম ঃ সিস্টেম মাত্রাতিরিক্ত গরমের অন্যতম করন পাওয়ার সাপ্লাই। হাই ভোল্টেজ, লো ভোল্টেজ, ভোল্টেজ আপ-ডাউন, লুজ কানেকশান ইত্যাদির কারনে সিস্টেম গরম হয়ে যায় এবং কম্পিউটার ধীর গতিতে কাজ করে।
৪। রির্ষ্টাট এবং auto Shut dawn ঃ পাওয়ার সাপ্লাই পযাপ্ত ভোল্টেজ ডিভাইসে সরবরাহ করতে না পারলে কম্পিউটার রিষ্টার্ট নেয় এমনকি একবারে বন্ধও হয়ে যায়।
৫। হার্ড ডিস্ক সমস্যা ঃ ত্রুটিজনিত পাওয়ার সাপ্লাইয়ের কারনে হার্ড ডিস্কের উপর নেতিবাচক প্রভাব পেলে। এত করে হার্ড ডিস্কের ডাটা হারানো, ব্যাড সেক্টর বা পাওয়ার ডেড হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
কিভাবে বুঝবেন পাওয়ার সাপ্লাই সমস্যা ঃ যে কোন পাওয়ার সাপ্লাইয়ের নিন্মোক্ত লক্ষনগুলো উপস্থিত থাকলে বুঝতে হবে পাওয়ার সাপ্লাই সমস্যা।
১। পাওয়ার সাপ্লাইয়ের ফ্যান ঘুরে না
২। পাওয়ার সাপ্লাইয়ের ফ্যান ধীরে ধীরে ঘুরে
৩। পাওয়ার সাপ্লাই থেকে বিভিন্ন প্রকারের আওয়াজ করে।
৪। পিসি রিষ্টার্ট নেবে বা একেবারে বন্ধ হয়ে যায়।
৫।auto Shut dawn হলে ১৫-২০ মিনিটের আগে চালু হয় না।
৫। পিসি স্লো হয়ে যায়।
সাধারনত নষ্ট পাওয়ার সাপ্লাইয়ে এসকল লক্ষন গু্েলা পরিলক্ষিত হয়। এ সমস্যাগুলো দেখে বুঝে নিতে হবে যে আপনার পাওয়ার সাপ্লাইটিতে সমস্যা আছে। এবং সেটিকে পরিবর্তন করে ফেলেন
বিঃ দ্রঃ উপরিউক্ত সমস্যা গুলো কম্পিউটারের অন্যান্য হার্ডওয়্যার সমস্যার জন্যেও হতে পারে।
১। সিস্টেম হ্যাংঃ পিসি হ্যাং করা একটি কমন প্রবলেম। আমাদের অতি মুল্যবান কম্পিউটারটি যে কোন সময় যে কোন পরিস্থিতিতে হ্যাং করতে পারে। এর জন্য ৭০% দায়ী কম্পিউটার পাওয়ার সাপ্লাই। পাওয়ার সাপ্লাইয়ের ভোল্টেজ আপ-ডাউন করা, ভোল্টেজ ড্রপ করা, ভোল্টেজ নয়েজ অন্যতম কারন।
২| Burntঃ ভোল্টেজ জনিত কারনে সাধারনত যে কোন ইলেকট্রিক ডিভাইস পুড়ে যায় এবং যে কোন পার্স শর্ট হয়ে যায়। এতে করে যে কোন হার্ডওয়্যার সম্পূর্নরূপে ব্যাবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়ে।
৩। সিস্টেম অতিরিক্ত গরম ঃ সিস্টেম মাত্রাতিরিক্ত গরমের অন্যতম করন পাওয়ার সাপ্লাই। হাই ভোল্টেজ, লো ভোল্টেজ, ভোল্টেজ আপ-ডাউন, লুজ কানেকশান ইত্যাদির কারনে সিস্টেম গরম হয়ে যায় এবং কম্পিউটার ধীর গতিতে কাজ করে।
৪। রির্ষ্টাট এবং auto Shut dawn ঃ পাওয়ার সাপ্লাই পযাপ্ত ভোল্টেজ ডিভাইসে সরবরাহ করতে না পারলে কম্পিউটার রিষ্টার্ট নেয় এমনকি একবারে বন্ধও হয়ে যায়।
৫। হার্ড ডিস্ক সমস্যা ঃ ত্রুটিজনিত পাওয়ার সাপ্লাইয়ের কারনে হার্ড ডিস্কের উপর নেতিবাচক প্রভাব পেলে। এত করে হার্ড ডিস্কের ডাটা হারানো, ব্যাড সেক্টর বা পাওয়ার ডেড হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
কিভাবে বুঝবেন পাওয়ার সাপ্লাই সমস্যা ঃ যে কোন পাওয়ার সাপ্লাইয়ের নিন্মোক্ত লক্ষনগুলো উপস্থিত থাকলে বুঝতে হবে পাওয়ার সাপ্লাই সমস্যা।
১। পাওয়ার সাপ্লাইয়ের ফ্যান ঘুরে না
২। পাওয়ার সাপ্লাইয়ের ফ্যান ধীরে ধীরে ঘুরে
৩। পাওয়ার সাপ্লাই থেকে বিভিন্ন প্রকারের আওয়াজ করে।
৪। পিসি রিষ্টার্ট নেবে বা একেবারে বন্ধ হয়ে যায়।
৫।auto Shut dawn হলে ১৫-২০ মিনিটের আগে চালু হয় না।
৫। পিসি স্লো হয়ে যায়।
সাধারনত নষ্ট পাওয়ার সাপ্লাইয়ে এসকল লক্ষন গু্েলা পরিলক্ষিত হয়। এ সমস্যাগুলো দেখে বুঝে নিতে হবে যে আপনার পাওয়ার সাপ্লাইটিতে সমস্যা আছে। এবং সেটিকে পরিবর্তন করে ফেলেন
বিঃ দ্রঃ উপরিউক্ত সমস্যা গুলো কম্পিউটারের অন্যান্য হার্ডওয়্যার সমস্যার জন্যেও হতে পারে।
পাওয়ার সাপ্লাইয়ের জন্য করনীয় ঃ পিসি চালাতে আমাদের পাওয়ার সাপ্লাইয়ের জন্য যে সকল করনীয় রয়েছে তা এখানে আলোচনা করছি।
১। কম্পিউটার হার্ডওয়্যারের চাহিদা অনযায়ী পর্যাপ্ত ওয়াটের পাওয়ার সাপ্লাই সরবরাহ করতে হবে।
২। ভাল মানের পাওয়ার সাপ্লাই ব্যবহার করতে হবে।
৩। পাওয়ার সাপ্লাইয়ের ইনপুট আউটপুট পয়েন্টে যেন লুজ কানেকশান না থাকে সে দিকে লক্ষ রাখতে হবে।
৪। পাওয়ার সাপ্লাইয়ের ভিতেরে ময়লা জমলে পরিস্কার করতে হবে।
৫। পাওয়ার সাপ্লাইয়ের ফ্যান ঠিকমত ঘুরে কিনা, সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে।
১। কম্পিউটার হার্ডওয়্যারের চাহিদা অনযায়ী পর্যাপ্ত ওয়াটের পাওয়ার সাপ্লাই সরবরাহ করতে হবে।
২। ভাল মানের পাওয়ার সাপ্লাই ব্যবহার করতে হবে।
৩। পাওয়ার সাপ্লাইয়ের ইনপুট আউটপুট পয়েন্টে যেন লুজ কানেকশান না থাকে সে দিকে লক্ষ রাখতে হবে।
৪। পাওয়ার সাপ্লাইয়ের ভিতেরে ময়লা জমলে পরিস্কার করতে হবে।
৫। পাওয়ার সাপ্লাইয়ের ফ্যান ঠিকমত ঘুরে কিনা, সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে।
কম্পিউটারের জন্য কত ওয়াটের পাওয়ার সাপ্লাই প্রয়োজন ঃ
প্রত্যেকটা ডিভাইসই তার প্রস্তুতকারী কোম্পানী কতৃক নির্ধারিত হয় তাতে কি
পরিমান ওয়াট সরবরাহ করতে হবে। দেখে নেওয়া যাক, কোন সিস্টেমের জন্য কত ওয়াট
বিদ্যুৎ এর প্রয়োজন।
- যে সকল কম্পিউটারে সাধারনত মুভি দেখা, গান শোন, নেট ব্রাউজ, নরমাল গেম খেলা হয়, সেই সকল কম্পিউটারের জন্য ৩৫০ ওয়াটের পাওয়ার সাপ্লাই-ই যথেষ্টে।
- যে সকল কম্পিউটারে মোটামোটি মানের গেম খেলা হয় তাদের জন্য ৫০০ওয়াটের পাওয়ার সাপ্লাই যথেষ্ট।
- হাই গেমিং এবং সার্ভারের জন্য আরো অনেক বেশি ক্ষমতা সম্পূর্ন পাওয়ার সাপ্লাই সরবরাহ করতে হয় যার পরিমান নির্ভর করে তার হার্ডওয়্যারের উপর।
তবে হার্ডওয়্যারের নির্দিষ্ট মডেল ছাড়া সঠিক ভাবে বলা যায় না, তাতে কত
ওয়াটের পাওয়ার সাপ্লাই প্রয়োজন। হাই গেমিং এর জন্য নির্দিষ্ট মডেলের
গ্রাফিক্্র কার্ডের জন্য তার চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুত সরবরাহ করতে হবে।
গ্রাফিক্্র কার্ডের জন্য কত ওয়াট বিদ্যুত প্রয়োজন তা ম্যানুয়েলের মধ্যে
উল্লেখ থাকে। এছাড়াও বিভিন্ন সফটওয়্যার, অনলাইন পাওয়ার সাপ্লাই
ক্যালকুলেটরের মাধ্যমে ওয়াট নির্নয় করা যায়।
এই ধরনের কয়েকটি অনলাইন পাওয়ার সাপ্লাই ক্যালকুলেটরের এড্রেস দেওয়া হলঃ
এই ধরনের কয়েকটি অনলাইন পাওয়ার সাপ্লাই ক্যালকুলেটরের এড্রেস দেওয়া হলঃ
ক্যালকুলেটরে হিসেব করে যে পরিমান ওয়াট দেখাবে, তার চাইতে আরো ৩০%-৩৫%
বেশি ক্ষমতা সম্পূর্ন পাওয়ার সাপ্লাই কিনবেন। বাজারে অনেক নরমাল পাওয়ার
সাপ্লাই আছে, সেগুলোতে সে পরিমান ওয়াট লিখা থাকে সত্যিকারে কিন্তু তা থাকে
না। এজন্য সতর্ক থাকুন।
পাওয়ার সাপ্লাইয়ের বিভিন্ন কানেক্টর ঃ কম্পিউটারের বিভিন্ন ডিভাইসের মধ্যে বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য পাওয়ার সাপ্লাইয়ের বিভিন্ন ধরনের পাওয়ার কানেক্টর রয়েছে। তার আলোচনা নিচে করছি।
১। ২৪ পিন ATX পাওয়ার কানেক্টর ঃ কম্পিউটার মাদারবোর্ড অন হতে ২৪ পিন ATX পাওয়ার কানেক্টর ব্যাবহার করা হয় । এটি মেইন পাওয়ার কানেক্টর নামেও পরিচিত। প্রথম দিকের মাদারবোর্ডে ২০ পিন ATX পাওয়ার কানেক্টর থাকলেও পরবর্তীতে ২৪ পিন ATX পাওয়ার কানেক্টরের প্রচলন শুরু হয়েছে। প্রয়োজনে ২৪ পিন কানেক্টর খুলে ২০ পিন এবং ৪ পিন কানেক্টর আলাদা করা যায়।
পাওয়ার সাপ্লাইয়ের বিভিন্ন কানেক্টর ঃ কম্পিউটারের বিভিন্ন ডিভাইসের মধ্যে বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য পাওয়ার সাপ্লাইয়ের বিভিন্ন ধরনের পাওয়ার কানেক্টর রয়েছে। তার আলোচনা নিচে করছি।
১। ২৪ পিন ATX পাওয়ার কানেক্টর ঃ কম্পিউটার মাদারবোর্ড অন হতে ২৪ পিন ATX পাওয়ার কানেক্টর ব্যাবহার করা হয় । এটি মেইন পাওয়ার কানেক্টর নামেও পরিচিত। প্রথম দিকের মাদারবোর্ডে ২০ পিন ATX পাওয়ার কানেক্টর থাকলেও পরবর্তীতে ২৪ পিন ATX পাওয়ার কানেক্টরের প্রচলন শুরু হয়েছে। প্রয়োজনে ২৪ পিন কানেক্টর খুলে ২০ পিন এবং ৪ পিন কানেক্টর আলাদা করা যায়।
২। ১২ ভোল্ট ATX পাওয়ার কানেক্টর ঃ একে সিপিইউ পাওয়ার
কানেক্টরও বলা হয়। ১২ ভোল্ট ATX পাওয়ার কানেক্টর দ¦ারা প্রসেসরের জন্য
আলাদাভাবে ভোল্টেজ সরবরাহ করা হয়। পেন্টিয়াম ৪ প্রসেসর থেকে এর প্রচলন শুরু
হয়। এতে ১২ ভোল্ট বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়।
৩। সাটা পাওয়ার কানেক্টর ঃ
কম্পিউটারের বিভিন্ন সাটা পোর্ট সম্বলিত পেরিফেরালের মধ্যে ভোল্টেজ সরবরাহ
করতে এই কানেক্টর ব্যবহার করা হয়। সাটা পাওয়ারর কানেক্টর দ্বারা যথাক্রমে
১২, ৫ এবং ৩.৩ ভোল্ট বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়। এই কানেক্টরটি সাটা হার্ড
ডিস্ক, সাটা অপটিকেল ড্রাইভ এ ভোল্টেজ সাপ্লাই দেয়ার কাজে লাগে। তবে ৩.৩
ভোল্ট সাপ্লাই ছাড়াও এ ডিভাইস গুলো চলতে পারে।
৪। ৪ পিন Molex কানেক্টর ঃ কম্পিউটারের বিভিন্ন আইডিই
পোর্ট সম্বলিত পেরিফেরালের মধ্যে ভোল্টেজ সরবরাহ করতে এই কানেক্টর ব্যবহার
করা হয়। আইডিই পাওয়ারর কানেক্টর দ্বারা ১২ ভোল্ট ও ৫ ভোল্ট বিদ্যুৎ সরবরাহ
করা হয়। এই কানেক্টরটি আইডিই হার্ড ডিস্ক, আইডিই অপটিকেল ড্রাইভ এ ভোল্টেজ
সাপ্লাই দেয়ার কাজে লাগে।
৫। ৬ পিন pci express কানেক্টর ঃ pci express
গ্রাফিক্স কার্ডে এই কানেক্টর দ্বারা বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়ে থাকে। Low
end Graphics কার্ডে এই আলাদা কোন বিদ্যুৎ সরবরাহের প্রয়োজন পড়ে না। তবে
High end Graphics কার্ডের জন্য এই রকম ১টি কিংবা ২টি ৬ পিন pci express
কানেক্টরের প্রয়োজন পড়তে পারে। ৬ পিন pci express কানেক্টর দ্বারা
গ্রাফিক্স কার্ডে সর্বোচ্চ ৭৫ ওয়াট এক্সটা ভোল্টেজ সাপ্লাই দিতে সক্ষম।
৬। ৮ পিন Pci Express কানেক্টর ঃ pci
express ২.০ ২০০৭ সালে বাজারে আসে এবং এতে ৮ পিন pci express কানেক্টর
রয়েছে। যেখানে ৬ পিন পিসিআই-ই কানেক্টর সর্বচ্চো ৭৫ ওয়াট বিদ্যুৎ সাপ্লাই
দিতে পারে আর সেখানে ৮ পিন পিসিআই-ই কানেক্টর সর্বচ্চো ১৫০ ওয়াট পর্যন্ত
বিদ্যুৎ সাপ্লাই দিতে পারে। এই কানেক্টর টি দেখতে অনেকটা EPS 8 pin 12 volt
cable এর মত। তবে একটি পোর্টের সাথে অন্যটি ইনপুট হবে না কারন এখানে
প্রত্যেকটির জন্য আলাদা আলাদ খাঁজ কাটা আছে।
৭। ৬ পিন auxiliary পাওয়ার কানেক্টর ঃ পুরাতন কিছু
ডুয়েল সিপিইউ এমডি মাদারবোর্ডে এক্সট্রা ওয়াট সাপ্লাইয়ের জন্য এই
কানেক্টরটি ব্যাবহার করা হত। এই কানেক্টরটি এখন আর নেই বললেই চলে।
৮। ৪ পিন Floppy Drive কানেক্টর ঃ ফ্লপি ড্রাইভে ভোল্টেজ সাপ্লাইয়ের জন্য এই কানেক্টরটি ব্যাবহার করা হয়।
২৪ পিন ATX পাওয়ার কানেক্টর বিস্তারিত ঃ আশাকরি নিচের ছবি ও টেবিলটি দেখে আপনারা অতি সহজেই ২৪ পিন ATX পাওয়ার কানেক্টর সম্পর্কে বিস্তারিত বুঝে নিতে পারবেন।
পিন | সিগনাল |
কালার
|
বর্ননা
|
1 | 3.3V | Orange | +3.3 VDC |
2 | 3.3V | Orange | +3.3 VDC |
3 | COM | Black | Ground |
4 | 5V | Red | +5 VDC |
5 | COM | Black | Ground |
6 | 5V | Red | +5 VDC |
7 | COM | Black | Ground |
8 | PWR_OK | Gray | Power Ok is a status signal generated by the power supply to notify the computer that the DC operating voltages are within the ranges required for proper computer operation. |
9 | 5VSB | Purple | +5 VDC Standby Voltage (max 10mA, max 2A in ATX 2.2 spec) |
10,11 | 12V | Yellow | +12 VDC |
12 | 3.3V | Orange | +3.3 VDC |
13 | 3.3V | Orange | +3.3 VDC. ATX V2.3 / EPS12V V2.92 both define that the PSU has to use remote sensing to compensate cable drops on the 3.3V line. Because of this there is an additional brown cable crimped together with the orange cable either to pin 13 (ATX) or any Orange Colure cable). |
14 | -12V | Blue | -12 VDC |
15 | COM | Black | Ground |
16 | /PS_ON | Green | Power Supply On (active low). Short this pin to GND to switch power supply ON, disconnect from GND to switch OFF. |
17,18,19 | COM | Black | Ground |
20 | -5V | White | -5 VDC. (Optional) |
21,22,23 | +5V | Red | +5 VDC |
24 | COM | Black | Ground |
এ কথাটি সব সময় মনে রাখবেন যে, পিসির যে কোন পাওয়ার সাপ্লাইয়ে হলুদ তারে
১২ ভোল্ট, লাল তারে ৫ ভোল্ট, কমলা কালার তারে ৩.৩ ভোল্ট এবং কালো তার
গ্রাউন্ড। ৯ নং পিনটি বেগুনী কালারের। পিসি বন্ধ থাকলেও এত ৫ ভোল্ট ঝঃধহফনু
থাকে। এ কারনেই পিসি বন্ধ থাকা সত্বেও মাউস কি বোর্ডে এলইডি জ্বলে এমন কি
কিবোর্ড দ্বারা পিসি অন করা যায়। ১৬ নং তারটি সবুজ কালারের। এ তারের সাথে
যে কোন একটি কালো তারের সংযোগ করলে পাওয়ার সাপ্লাই অন হবে।
পাওয়ার সাপ্লাই প্রস্তুতকারী কোম্পানীঃ এখানে দেখাবো বিভিন্ন ব্যান্ডের পাওয়ার সাপ্লাই।
- Seasonic
- Thermaltake
- Antec
- Corsair
- SilverStone
- Top Power
- A.Tech
- Enermax
আমার বাস্তব অভিজ্ঞতার আলাকে বলছি, বর্তমানে কম দামের মধ্যে A.Tech এর পাওয়ার সাপ্লাই সবচেয়ে ভাল। যারা গ্রাফিক্স কার্ড ইউস করেন না তারা A.Tech এর পাওয়ার সাপ্লাই ৬০০ টাকা দিয়ে কিনে ব্যাবহার করতে পারেন। আশাকরি ভাল ফলাফল পাবেন।
আজকের জন্য এখানেই বিদায়। পরবর্তীতে কম্পিউটারের অন্য একটি হার্ডওয়্যার
নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো। সে পর্যন্ত আমাদের সঙ্গে থাকুন। আর কোথায়ও
বুঝতে সমস্যা হলে আমাকে কমেন্ট করে জানা। ধন্যবাদ............
No comments:
Post a Comment