আমাদের ভুবনে আপনাকে স্বাগতম-- ভর্তি চলছে! ভর্তি চলছে!! ভর্তি চলছে!!! আমাদের সেন্টারে ভর্তির জন্য admission form- এ ক্লিক করে ভর্তি ফরম ডাউন লোড করে নিন। ধন্যবাদ।

কম্পিউটার ও এর আবিস্কারের ইতিহাস


কম্পিউটারঃ-
কম্পিউটার শব্দের উৎপত্তি হয়েছে ল্যাটিন শব্দ কম্পিউটেরিয়া থেকেকম্পিউটার শব্দের অর্থ গণনা করাকম্পিউটার হল এমন একটি যন্ত্র যা কতগুলি নির্দিষ্ট নির্দেশ অনুসরণ করে গাণিতিক গণনা সম্পাদন
Home Computer Workstation
করেকিন্ত বর্তমান যুগে কম্পিউটারের বহুমুখী ব্যবহারের ফলে কম্পিউটারের সংজ্ঞা অনেক ব্যাপকতা লাভ করেছেকোন সীমিত সংজ্ঞা দিয়ে আর কম্পিউটার গন্ডীবন্ধ করা যায় না কম্পিউটারের রয়েছে প্রচুর ব্যাবহার| ঘরের কাজ থেকে শুরু করে ব্যাবসায়িক, বৈজ্ঞানিক ইত্যাদি নানা ক্ষেত্রে এর অপরিসীম ব্যাবহার| সর্বোপরি যোগাযোগ ক্ষেত্রে এটি এনেছে অনন্য বিপ্লব| চিকিৎসা ও মানবকল্যানেও এটি এক অনন্য সঙ্গী| এক কথায় কম্পিউটার এমন এক যন্ত্র যা প্রায় সকল কাজ করতে সক্ষম
Current Computer Setup
কম্পিউটার আবিস্কারের ইতিহাসঃ-
১৬১৭ সালে স্কটল্যান্ডের গণিতবিদ জন নেপিয়ার হিসাব-নিকাশের জন্য হাতীর দাতের ছোট ছোট অংশ দিয়ে একটি যন্ত্র তৈরি করলেন যাকে নেপিয়ারের অস্থি বলা হয়নেপিয়ারের অস্থি ছিল এনালগ বা তুলনাভিত্তিক গণনা গন্ত্র
১৬৪২ সারে ১৯ বছর বয়স্ক ফরাসী বিজ্ঞানী রেইজ প্যাচক্যাল প্রথম গণনার যন্ত্র চাকার সাহায্যে তৈরিতে সক্ষম হনযেতেতু চাকা দুই দিকেই ঘুরানো যেত তাই যোগ বিয়োগ করার কোন অসুবিধা হতোনা
১৬৭১ সালে বিখ্যাত জার্মান গণিতবিদ হটফ্রাইড ভন লিবনিজ আরেকটি গণক যন্ত্র তৈবি করেন যার সাহায্যে গুন ভাগ করা যেততিন শতাব্দী পূর্বে বর্তমানের সমতুল্য চার ফাংশন বিশিষ্ট ক্যালকুলেটরটিও তিনি নির্মাণ করেন
১৮২০ সালে টমাস ডি কোমার রিকোনিং যন্ত্রের অসুবিধা দূর করে লাইবানজের যন্ত্রকে জনপ্রিয় করে তোলেন
আধুনিক কম্পিউটারের জনক হিসাবে পরিচিত বৃটিশ নাগরিক র্চালস ব্যাবেজের নাম স্মরন করা হয়ে থাকেতিনি ১৮২৩ সালে সরকারের অনুদানে ডিফারেন্স ইঞ্জিল বা বিয়োগ ভিত্তিক গণনা যন্ত্র তৈরি করেন
আদা আগুসতা ল্যাভল্যাচই পৃথিবীর প্রথাম কম্পিউটার  প্রোগামার  প্রায় ১০৩৭-৪৪ সাল পযর্ন্ত আই বি এম কোম্পানীর সহায়তায় যুক্তরাষ্ট্রের হাউয়ার্ড আইফেন হারভার্ড বিশ্ববিদ্যায়ে পৃথিবীর প্রথম বৈদুতিক যান্ত্রিক কম্পিউটার তৈরী করেনচার্লস ব্যাবেজের এনালাইটিক ইঞ্জিনের এ ছিল বাস্তবরূপ
Our computers

কম্পিউটারের উপাদানঃ-
কম্পিউটারের উপাদানগুলিকে চারটি ভাগে ভাগ করা যায়যথা-
   ০১> হার্ডওয়্যারঃ কম্পিউটারের বাহ্যিক আকৃতি প্রদানকারী উপাদান বা যন্ত্রাংশগুলিকে হার্ডওয়্যার বলেএগুলিকে তিন ভাগে ভাগ করা যায়, যথা-
        i> ইনপুট - কী-বোর্ড, মাউস, ডিস্ক, স্ক্যানার, কার্ড রিডার, ডিজিটাল ক্যামেরা ইত্যাদি
        ii> প্রোসেশিং ইউনিট - হার্ডডিস্ক, মাদারবোর্ড, এজিপি কার্ড ইত্যাদি
        iii> আউটপুট - মনিটর, প্রিন্টার, ডিস্ক, স্পিকার ইত্যাদি
   ০২> সফট্ওয়্যারঃ একটি নির্দিষ্ট কাজ সম্পাদনের জন্য ধারাবাহিকভাবে সাজানো কম্পিউটারের যে নির্দেশমালা তাকে প্রোগ্রাম বলেহার্ডওয়্যারকে কার্যক্ষম করার জন্য প্রোগ্রাম সমষ্টিকে সফটওয়্যার বলেইহা দুই প্রকার, যথা-
          i> সিস্টেম সফট্‌ওয়্যার - কম্পিউটারের বিভিন্ন ইউনিটের মধ্যে কাজের সমন্বয় রক্ষা করে
       ii> অ্যাপ্লিকেশন সফট্‌ওয়্যার ব্যবহারিক সমস্যা সমাধান করে
   ০৩> হিউম্যানওয়্যারঃ ডেটা সংগ্রহ, প্রোগ্রাম বা ডেটা সংরক্ষণ ও পরীক্ষাকরণ, কম্পিউটার চালানো তথা প্রোগ্রাম লিখা, সিস্টেমগুলো ডিজাইন ও রেকর্ড লিপিবদ্ধকরণ এবং সংরক্ষণ, সফট্‌ওয়্যার ও হার্ডওয়্যারের মধ্যে সমন্বয় সাধন ইত্যাদি কাজগুলোর সাথে যুক্ত উপাদানকে (মানুষ) হিউম্যানওয়্যার বলা হয়
Students working on class assignment in comput...
   ০৪> ডেটাঃ প্রদত্ত তথ্যের ক্ষুদ্রতম একককে ডেটা বলেএটি নিউমেরিক অথবা নোন-নিউমেরিক হতে পারে
পরবর্তী ব্লগে আমরা অপারেটিং সিস্টেম, কম্পিউটারের প্রকারভেদ, সুপার কম্পিউটার ইত্যাদি বিষয়ে শিখব
রোজিনা মোহন| |
লেখক সম্পর্কে
নতুন এবং অনভিজ্ঞ ব্লগারদের জন্য ব্লগ ডিজাইন এবং বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে লেখা শুরু করলামপরবর্তীতে ইন্টারনেট, পড়াশুনা, সি.এস.এস., এম.এস.অফিস, অনলাইন আয়, ওয়েব হোস্টিং ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয় নিয়ে লেখার ইচ্ছে আছেসঙ্গে থাকুন, পরামর্শ দিন, মন্তব্য করুন

No comments:

Post a Comment

Blogger Widgets